বারাবাঁকি জেলা
বারোবাঁকী জেলা | |
---|---|
উত্তরপ্রদেশের জেলা | |
উত্তরপ্রদেশে বড়বাঁকী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (বারোবাঁকী, উত্তরপ্রদেশ): ২৬°৫৫′ উত্তর ৮১°১২′ পূর্ব / ২৬.৯২° উত্তর ৮১.২০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | অযোধ্যা |
সদর দপ্তর | বারোবাঁকী |
তহশিল | |
সরকার | |
• জেলা কালেক্টর | আদর্শ সিং আইএএস |
• লোকসভা কেন্দ্র | বারোবাঁকী লোকসভা কেন্দ্র |
• বিধানসভা কেন্দ্র | বারোবাঁকী বিধানসভা কেন্দ্র |
আয়তন | |
• মোটl | ৪,৪০২ বর্গকিমি (১,৭০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোটl | ৩২,৬০,৬৯৯ |
• জনঘনত্ব | ৭৪০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৩,৩০,৮০৩ |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৭৮.৭% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯১০ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউপি-৪১ |
প্রধান মহাসড়ক | এনএইচ ২৭, এনএইচ ২৮ বি |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১০৫০ মিমি |
ওয়েবসাইট | http://barabanki.nic.in/ |
বারোবাঁকী জেলা ফৈজাবাদ বিভাগের চারটি জেলার একটি, ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যা অঞ্চলের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত, এছাড়া এই জেলা আশেপাশের ৭টি জেলারও কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি ২৭°১৯'এবং ২৬°৩০' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮০°০৫' এবং ৮১°৫১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত; এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত হয়েছে, ঘাঘরা এবং গোমতীর প্রায় সমান্তরাল স্রোত একে ঘিরে রেখেছে। এর সর্বাধিক উত্তরের অঞ্চলটি সীতাপুর জেলা সন্নিষ্ট, এর উত্তর-পূর্ব সীমানায় আছে ঘাঘরা নদী, তাকে পার হয়ে আছে বাহরাইচ জেলা এবং গোণ্ডা জেলা। এর পূর্ব সীমান্তে আছে ফৈজাবাদ জেলা, এবং গোমতী এর দক্ষিণে একটি প্রাকৃতিক সীমানা গঠন করেছে, একে সুলতানপুর জেলা থেকে আলাদা করে রেখেছে। পশ্চিমে এটি লক্ষ্ণৌ জেলার সঙ্গে সংযুক্ত। পূর্ব থেকে পশ্চিমে জেলার চূড়ান্ত দৈর্ঘ্য ৫৭ মাইল (৯২ কিমি), এবং চূড়ান্ত প্রশস্ততা ৫৮ মা (৯৩ কিমি); মোট এলাকা প্রায় ১,৫০৪ মা২ (৩,৯০০ কিমি২): এর জনসংখ্যার পরিমাণ ২,৬৭৩,৫৮১, জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৮৬.৫০ প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৭৭৮.০/বর্গমাইল)। জেলা সদর হল বারোবাঁকী শহর।
ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এই জেলার অঞ্চল ছিল ১,৭৬৯ মা২ (৪,৫৮০ কিমি২)। ১৮৫৬ সালে এই জেলা বাকি আওধের সঙ্গে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এসেছিল। ১৮৫৭-১৮৫৮ সালের সিপাহী যুদ্ধের সময়, বারোবাঁকী সমস্ত তালুকদার বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দেয়, তবে [[লক্ষ্ণৌ][ দখলের পরে তারা বিশেষ কোনও গুরুতর প্রতিরোধ দেখায়নি।[১][২]
এখানকার প্রধান ফসল হল ধান, গম, ডাল ও অন্যান্য খাদ্যশস্য এবং আখ। কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সক্রিয় রয়েছে।[২] উভয় সীমান্তবর্তী নদীই চলাচলযোগ্য; এবং জেলাটি উত্তর রেলপথ এবং উত্তর-পূর্ব রেলপথের দুটি লাইন দ্বারা বিভক্ত, রেল লাইনের শাখাসহ মোট দৈর্ঘ্য ১৩১ কিলোমিটার।[৩] এটির জাতীয় সড়ক এনএইচ ২৮, রাজ্য মহাসড়ক এবং বিভিন্ন সংযোগ সড়কের মাধ্যমে ভাল সড়ক যোগাযোগ রয়েছে
ভূগোল
[সম্পাদনা]জেলার বেশিরভাগ অংশ সমতল, এখানে কোথাও কোন পাহাড় নেই; সবচেয়ে উঁচু বিন্দুটি সমুদ্র তলের প্রায় চারশো ত্রিশ ফুট উপরে; এবং এমন কয়েকটি স্থান রয়েছে যা থেকে দেশের বিস্তৃত অংশ জরিপ করা যায়। বনের তাজা শ্যামলিমা এবং সৌন্দর্য দিয়ে এটি প্রতিটি দিকে জড়িত। যখন বসন্তের সবুজ ফসল দেখা দেয় এবং ঝিলগুলি জল পূর্ণ হয়ে থাকে, সেই সৌন্দর্য খুবই আকর্ষণীয়। এখানে সেখানে কিছু অকর্ষিত জমি দেখা যেত, তবে, উচ্চ মূল্যায়ন এবং মেয়াদে সুরক্ষা, দ্রুত এগুলিকে ভুট্টার ক্ষেতে রূপান্তরিত করছে। উত্তরের দিকে, বিশেষত ঘাঘরার পুরাতন তীর বরাবর, স্থলাংশটি ঢেউখেলান এবং বন সমৃদ্ধ, দক্ষিণ অংশ ঢালু হয়ে গোমতীতে নেমে গেছে। উত্তর দিকে সমতল থেকে হঠাৎ নিচে নেমে গেছে, এক মাইল (১.৬ কিমি) থেকে তিন মাইল (৫ কিলোমিটার) দূরত্বে ঘাঘরার সমান্তরালে চলমান গিরি অঞ্চল, বলা হয় আগে নদীর ডান তীর ছিল। জেলাটির বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় খাদ। [১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Gazetteer of the province of Oudh, BARA BANKI DISTRICT ARTICLE #226-263 এই উৎস থেকে এই নিবন্ধে লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে।
- ↑ ক খ One or more of the preceding sentences একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Bara Banki"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 3 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 379।
- ↑ "District Statistics"। Barabanki.nic.in। ১ এপ্রিল ১৯৫৪। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩।