বিষয়বস্তুতে চলুন

আমেঠি জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৬°১০′০৮″ উত্তর ৮১°৪৭′৫৮″ পূর্ব / ২৬.১৬৮৮৯° উত্তর ৮১.৭৯৯৪৪° পূর্ব / 26.16889; 81.79944
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আমেঠি জেলা
উত্তর প্রদেশের জেলা
উত্তরপ্রদেশে আমেঠি জেলার অবস্থান
উত্তরপ্রদেশে আমেঠি জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগফৈজাবাদ বিভাগ
সদর দপ্তরগৌরীগঞ্জ
তহশিল
সরকার
 •  লোকসভা কেন্দ্রআমেঠি (লোকসভা কেন্দ্র)
 •  বিধানসভা কেন্দ্রগুলি১. আমেঠি
২. গৌরীগঞ্জ
৩. জগদীশপুর
৪. তিলোই[]
আয়তন
 • মোটা৩,০৬৩ বর্গকিমি (১,১৮৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • মোটা২৫,৪৯,৯৩৫
 • জনঘনত্ব৮৩০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
ওয়েবসাইটhttp://amethi.nic.in/

আমেঠি জেলা হল উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ৭২তম জেলা। এই জেলাটি ফৈজাবাদ বিভাগের অন্তর্গত। এটি ৩,০৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। গৌরীগঞ্জ এই জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর।

১৯৮০ সাল থেকে ভারতীয় নেহেরু-গান্ধী রাজনৈতিক রাজবংশের ক্ষমতার আসন হওয়ার কারণে এটি বেশি পরিচিত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহ্‌রু, তাঁর দুই নাতি সঞ্জয় এবং রাজীব গান্ধী (ইন্দিরা গান্ধীর দুই ছেলে), রাজীব গান্ধীর বিধবা পত্নী সোনিয়া গান্ধী এবং পুত্র রাহুল গান্ধী, কোন না কোন সময়ে, এর নির্বাচনী অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[] তবে, ২০১৯ সালে, লোকসভা নির্বাচনে, রাহুল গান্ধী প্রাক্তন দূরদর্শন অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হওয়ার পর এই ধারার পরিবর্তন ঘটে।

জেলার সাধারণ বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

আমেঠি উত্তর প্রদেশের ৭২তম জেলা। এটি পূর্ববর্তী সুলতানপুর জেলার তিনটি তহশিলকে একত্রিত করে ১লা জুলাই ২০১০ সালে গঠন করা হয়। সেগুলি ছিল - আমেঠি, গৌরীগঞ্জ ও মুসাফিরখানা এবং পূর্বের রায়বেরেলি জেলার দুটি তহশিল, সালন ও তিলোই। নতুন জেলার নাম দেওয়া হয়েছিল ছত্রপতি শাহুজি মহারাজ নগর। তবে, ক্ষমতাসীন দল বদল হওয়ায়, এর নাম পরিবর্তন করে আবার আমেঠি রাখা হয়েছিল। আমেঠি এই জেলার একটি প্রধান শহর এবং একটি পৌর বোর্ড। একে রায়পুর-আমেঠি নামেও ডাকা হয়। দাদরা গ্রাম মুসাফিরখানা উপ-জেলায় অবস্থিত আমেঠি জেলার বৃহত্তম গ্রাম।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

আমেঠির অবস্থান রায়বেরেলী - আমেঠি - সুলতানপুর রাস্তায়, সুলতানপুরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। একে রায়পুর-আমেঠি নামেও ডাকা হয়, যার মধ্যে রায়পুর অঞ্চলটি রাম নগরে বসবাসকারী আমেঠির রাজার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর পূর্বপুরুষরা রায়পুর-ফুলওয়ারিতে থাকতেন, যেখানে এখনও পুরান কেল্লা দেখতে পাওয়া যায়। এখানে হনুমাঙ্গারি নামে একটি মন্দির এবং একটি মসজিদ রয়েছে, দুটিই প্রায় একশত বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। রাম নগরের প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তরে বিখ্যাত কবি, সন্ত মালিক মহম্মদ জয়সির সমাধি রয়েছে, যেখানে তিনি মারা গিয়েছিলেন। দুর্গটি বাচঘোটি রাজারা নির্মাণ করেছিলেন।[]

অবস্থান

[সম্পাদনা]

আমেঠি জেলাটির গড় উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ১০১ মিটার (৩৩১ ফুট), এটি ২৬°৯' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮১°৪৯' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। জেলাটির মোট ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ৩০৬৩ কিলোমিটার। ভূমিতলটি মোটামুটি সমতল, কেবলমাত্র নদীর তীরবর্তী অঞ্চলটি নালার জন্য ভেঙে গেছে। জেলার প্রধান নদী হল গোমতী, যেটি জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে। এই জেলার উত্তর দিকে ফৈজাবাদ জেলা; দক্ষিণ দিকে প্রতাপগড় জেলা। পশ্চিম দিকে বারাবাঁকি এবং রায়বেরেলী জেলা এবং পূর্ব দিকে সুলতানপুর জেলা।

স্থানবিবরণ

[সম্পাদনা]

আমেঠি জেলার জমি মোটামুটি সমতল, গোমতী নদীর আশেপাশের কিছু অঞ্চলের নালাগুলি দিয়ে প্রায় পুরো জেলাটির নিকাশী হয়। এটিকে কৃষিজাত অঞ্চল বলা যেতে পারে কারণ কৃষিকাজই মানুষের প্রধান পেশা। আমেঠি জেলার আবহাওয়া ভেজা ও শুষ্ক, এখানকার গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আমেঠিতে তিনটি স্বতন্ত্র ঋতু অনুভব করা যায়: গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং হালকা শরৎ। সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়। জেলাতে বর্ষাকাল আসে জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং জুলাই মাস বছরের আর্দ্রতম মাস হয়। এখানে নভেম্বর থেকে শীত শুরু হয়। দিনের তাপমাত্রা প্রায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে এবং রাতের তাপমাত্রা ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে থাকে; প্রায়শই ২ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "District wise assembly seats of Uttar Pradesh"। Myneta.info। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  2. "Rahul Gandhi says will change face of Amethi,dangles jobs carrot"। The Indian Express। PTI। ১৩ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. "About Amethi"। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৯ 

টেমপ্লেট:Amethi district

টেমপ্লেট:Faizabad division topics