১৯৬৫–৬৬ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ১৯৬৫–৬৬ |
---|---|
তারিখ | ১৪ আগস্ট ১৯৬৫ – ২৮ মে ১৯৬৬ |
চ্যাম্পিয়ন | ১৮৬০ মিউনিখ ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ১ম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | বরুসিয়া নয়কির্খেন তাসমানিয়া বার্লিন |
ইউরোপীয় কাপ | ১৮৬০ মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (চ্যাম্পিয়ন) বায়ার্ন মিউনিখ |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯৮৭ (ম্যাচ প্রতি ৩.২৩টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | লোটার এমেরিখ (৩১টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | হামবুর্গার ৮–০ কার্লস্রুহার (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৮–৩ নুর্নবার্গ (১২ মার্চ ১৯৬৬) |
← ১৯৬৪–৬৫ ১৯৬৬–৬৭ → |
১৯৬৫–৬৬ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৩য় মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৬৫ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৬৬ সালের ২৯শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় লোটার উলসাস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৬৪–৬৫ মৌসুমে ৪১ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করে ১৮৬০ মিউনিখ প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগা এবং জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় লোটার এমেরিখ ৩১ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
[সম্পাদনা]প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুটি করে ম্যাচ খেলেছিল, একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো একটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক দল সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান গড় গোল দ্বারা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক লিগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
[সম্পাদনা]১৯৬৪–৬৫ মৌসুম শেষে আর্থিক অনিয়মের কারণে হের্টার অনুমতিপত্র বাতিল করা হয়েছিল, যার ফলে তারা বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, বায়ার্ন মিউনিখ এবং বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। এর ফলে পূর্ববর্তী আসরের মতো ১৬ ক্লাবের বিপরীতে এই মৌসুম হতে বুন্দেসলিগা ১৮ ক্লাবে সম্প্রসারণ করা হয়েছিল।
ক্লাব | মাঠ[৩] | ধারণক্ষমতা[৩] |
---|---|---|
১৯০০ বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | রোটে আর্ডে স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
হানোফার ৯৬ | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৮৬,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কার্লস্রুহার | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৫০,০০০ |
কলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
১৮৬০ মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
বরুসিয়া নয়কির্খেন | এলেনফেল্ড স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
নুর্নবার্গ | স্টাটিশেস স্টেডিয়াম | ৬৪,২৩৮ |
শালকে | গ্লুকাউফ-কাম্পবান | ৩৫,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোঅ | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১৮৬০ মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২০ | ১০ | ৪ | ৮০ | ৪০ | ২.০০০ | ৫০ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৯ | ৯ | ৬ | ৭০ | ৩৬ | ১.৯৪৪ | ৪৭ | কাপ উইনার্স কাপের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৩ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ২০ | ৭ | ৭ | ৭১ | ৩৮ | ১.৮৬৮ | ৪৭ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ২১ | ৩ | ১০ | ৭৬ | ৪০ | ১.৯০০ | ৪৫ | |
৫ | কলন | ৩৪ | ১৯ | ৬ | ৯ | ৭৪ | ৪১ | ১.৮০৫ | ৪৪ | |
৬ | নুর্নবার্গ | ৩৪ | ১৪ | ১১ | ৯ | ৫৪ | ৪৩ | ১.২৫৬ | ৩৯ | আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ |
৭ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৬ | ৬ | ১২ | ৬৪ | ৪৬ | ১.৩৯১ | ৩৮ | |
৮ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৭০ | ৪৮ | ১.৪৫৮ | ৩৬ | |
৯ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৩ | ৮ | ১৩ | ৬৪ | ৫২ | ১.২৩১ | ৩৪ | |
১০ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ১১ | ১২ | ১১ | ৪৯ | ৪৯ | ১.০০০ | ৩৪ | |
১১ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৪২ | ৪৮ | ০.৮৭৫ | ৩২ | আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ |
১২ | হানোফার ৯৬ | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৫৯ | ৫৭ | ১.০৩৫ | ৩০ | |
১৩ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৫৭ | ৬৮ | ০.৮৩৮ | ২৯ | |
১৪ | শালকে | ৩৪ | ১০ | ৭ | ১৭ | ৩৩ | ৫৫ | ০.৬০০ | ২৭ | |
১৫ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ৮ | ১০ | ১৬ | ৪২ | ৬৫ | ০.৬৪৬ | ২৬ | |
১৬ | কার্লস্রুহার | ৩৪ | ৯ | ৬ | ১৯ | ৩৫ | ৭১ | ০.৪৯৩ | ২৪ | |
১৭ | বরুসিয়া নয়কির্খেন (R) | ৩৪ | ৯ | ৪ | ২১ | ৩২ | ৮২ | ০.৩৯০ | ২২ | রেগিওনাললিগায় অবনমিত |
১৮ | ১৯০০ বার্লিন (R) | ৩৪ | ২ | ৪ | ২৮ | ১৫ | ১০৮ | ০.১৩৯ | ৮ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোলের অনুপাত।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১৯৬৫–৬৬ ইউরোপীয় কাপ উইনার্স কাপ জয়লাভ করায় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৯৬৬–৬৭ ইউরোপীয় কাপ উইনার্স কাপে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
ফলাফল
[সম্পাদনা]শীর্ষ গোলদাতা
[সম্পাদনা]অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | লোটার এমেরিখ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩১ |
২ | ফ্রিডহেম কোনিৎস্কা | ১৮৬০ মিউনিখ | ২৬ |
৩ | আরনল্ড শুৎস | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ২০ |
৪ | পিটার গ্রোসার | ১৮৬০ মিউনিখ | ১৮ |
৫ | ইয়োহানেস লোহর | কলন | |
৬ | মানফ্রেড পোহলস্মিট | হামবুর্গার | |
৭ | ভিলহেম হুবার্টস | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১৭ |
৮ | লোটার উলসাস | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | |
৯ | বার্ন্ড রুপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১৬ |
১০ | রুডলফ ব্রুনেনমাইয়ার | ১৮৬০ মিউনিখ | ১৫ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Archive 1965/1966 Schedule"। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Eintracht Braunschweig - Borussia Dortmund 4:0 (Bundesliga 1965/1966, 1. Round)"। worldfootball.net। ৩ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৬৫–৬৬ বুন্দেসলিগা (জার্মান)