করিন্থিয়ান্স পলিস্তা স্পোর্ট ক্লাব
পূর্ণ নাম | স্পোর্ট ক্লাব করিন্থিয়ান্স পলিস্তা | ||
---|---|---|---|
ডাকনাম | তিমাও (বিগ টিম/হেম) টাইম দো পোভো (দ্য পিপল'স ক্লাব) করিঙ্গাও তোদো পোদারোজো (অলমাইটি) | ||
প্রতিষ্ঠিত | সেপ্টেম্বর ১, ১৯১০ | ||
মাঠ | আরেনা করেনথাস (২০১৪ থেকে) | ||
ধারণক্ষমতা | ৪৯,২০৫ | ||
সভাপতি | মারিও গব্বি | ||
প্রধান কোচ | তিতে | ||
লিগ | ক্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলেইরো সিরি এ | ||
২০২০ | ২য় | ||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | ||
| |||
করিন্থিয়ান্স পলিস্তা স্পোর্ট ক্লাব (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [sˈpɔʁtʃ ˈklub kʊˈɾĩtʃɐ̃s pawˈlistɐ]; ইংরেজি: Sport Club Corinthians Paulista; ব্রাজিলের অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব। সচরাচর এটি তিমাও (আইপিএ: [tʃiˈmɐ̃w]) বা ([tiˈmɐ̃w]), করিঙ্গাও (আইপিএ: [kʊɾĩˈgɐ̃w]) কিংবা করিন্থিয়ান্স নামেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। দলটি ২০১২ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয় করে। সাও পাউলোভিত্তিক বহুক্রীড়ায় অংশগ্রহণকারী দলটি রাজ্য বিভাগে ক্যাম্পিওনাতো পলিস্তা এবং ব্রাজিলের শীর্ষ জাতীয় লীগ ক্যাম্পিওনাতো ব্রাজিলিইরোতে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করে। করিন্থিয়ান্স শীর্ষস্থানীয় ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাবের সমন্বয়ে গড়া ক্লাব দোস ১৩-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবটি বেশ কয়েকবার তাদের ডাক নাম পরিবর্তন করেছে। তন্মধ্যে - তিমাও (অর্থ - বড় দল) নামটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য যা ব্রাজিলে তাদের জনপ্রিয়তার নিদর্শন বহন করে আসছে। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইবোপ, ডাটা ফোহা এবং সিএনটি/সেন্সাস নামীয় তিনটি পৃথক জনমত জরীপ কার্য পরিচালনা করে। ফলাফলে দেখা গেছে যে, ১৩.২% থেকে ১৪% ব্রাজিলীয় জনগোষ্ঠী করিন্থিয়ান্সকে পছন্দ করে। জনসংখ্যার আকারে তা আনুমানিক ২৪ থেকে ২৬ মিলিয়ন সমর্থক এ দলের পক্ষে গেছে। গ্যাভিওজ ডা ফায়েল, ক্যামিসা ১২, কোরিঙ্গাও চপ, প্যাভিলহাও ৯ এবং এস্তোপিম ডা ফায়েল নামে অনেকগুলো করিন্থিয়ান্স সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে উঠেছে।
করিন্থিয়ান্স ক্লাবটি এ মুহুর্তে ব্রাজিলের সর্বাপেক্ষা ধনী দল হিসেবে স্বীকৃত। ২০১১ সালে তাদের বার্ষিক আয় R$২৯৩ মিলিয়ন ব্রাজিলীয় রিয়াল (€১১৮ মিলিয়ন ইউরো / $১৪৫ মিলিয়ন ডলার)।[১] দেশের সর্বাপেক্ষা দামী ক্লাব হিসেবে ২০১২ সালে আয় করেছিল R$১.০০৫ বিলিয়ন ব্রাজিলীয় রিয়াল (€৪০৪ মিলিয়ন ইউরো / $৪৯৬ মিলিয়ন ডলার)।[২]
তিমাও'রা তাদের নিজ খেলাগুলো প্যাকেইম্বুতে খেলে থাকে। এ মাঠে সর্বোচ্চ ৪০,১৯৯ জন দর্শকের অংশগ্রহণের রেকর্ড ধারণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে নিজস্ব মাঠ এরিনা করিন্থিয়াসে খেলবে। এতে দর্শক সংখ্যার ধারণ ক্ষমতা থাকবে ৪৮,০০০।
সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট এবং সাদা মোজা সহযোগে ১৯২০ সাল থেকে মাঠে নামছে। নাইকি তাদের পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
সাফল্যগাঁথা
[সম্পাদনা]প্রাদেশিক চ্যাম্পিয়নশীপে তারা রেকর্ডসংখ্যক ২৬বার জয়ী হয়। ক্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলেইরো সিরি এ প্রতিযোগিতায় ৫বার বিজয়ী হয়েছিল। তন্মধ্যে ১৯৯৮/৯৯ মৌসুমে ডাবল এবং কোপা দো ব্রাসিল ৩বার জয় করে। বর্তমানে করিন্থিয়ান্স ২০১২ সালের কোপা লিবারতাদোরেজ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয় করে। দলটি ২০০০ সালে নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
এছাড়াও, দলটি ২০০০ সালের কোপা লিবারতাদোরেজের সেমি-ফাইনাল, ২০০৫ সালে কোপা সুদামেরিকানার কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ১৯৯৪ সালে কোপা কনমেবলের সেমি-ফাইনাল পর্বে উঠেছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Corinthians retain place as Brazil’s financial powerhouse" ওয়েবসাইটে আর্কাইভকৃত ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে.SoccerEx. Retrieved 17 July 2012.
- ↑ [Ricardo] (২০১২-০৭-১৭)। "Corinthians, The Only Billionaire Soccer Club In Brazil"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-১৭।
|author-link1=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (পর্তুগিজ), (ইংরেজি), (স্পেনীয়)
- Acervo SCCP – all matches and history of Corinthians
- Committee for Preservation of Corinthians' Memories ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ অক্টোবর ২০০৫ তারিখে
- FIFA Home Page ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে
- Book – Top 10 Idols