Spoken Engish
Spoken Engish
আপনার মূল্যবান সময়ের ২০ মিনিট কি পাব আমি? ১ঘন্টা সময় দিলে আপনি কিন্তু
ইংরেজিতে কথা বলবেন!! বিশ্বাস হচ্ছে নাতো? বিশ্বাস না হলে ১বার পড়ে দেখুন এত
ইংরেজী অনেক সহজ একটা বিষয় যদিও আমরা পাহাড় সমান বিশাল মনে করি। আরো বেশি
সোজা হল ইংরেজীতে কথা বলা। আর আমরা সব চেয়ে সোজা ব্যাপারটাকেই সব চেয়ে কঠিন
বানিয়ে রেখেছি। ইংরেজীতে কথা বলতে হলে যে আপনাকে অনেক গ্রামার জানতে হবে
সেটা কিন্তু একদম ঠিক নয়। যদি আপনি গ্রামারের কিছু ধারণা আর কিছু প্রয়োজনীয়
শব্দ আয়ত্তে আনতে পারেন এবং কিছু টেকনিক ব্যবহার করেন তবে আপনি সহজে
ইংরেজীতে কথা বলতে পারবেন। ইংরেজীতে কথা বলা আহামরি কিছু না, শুধু আপনাকে
আপনার লজ্জা সরম আর জড়তা থেকে বেরিয়ে এসে একটু প্রাকটিস করলেই হবে। লজ্জার
জন্য যদি আপনি কিছু শিখতে না পারেন তবে এর চেয়ে বড় লজ্জার আর কি আছে বলুন??
আমরা আজ ইংরেজীতে কথা বলব!!! আসলে প্রাক্যটিকেল কাজগুলো লিখায় নিয়ে আসা
কঠিন বটে তবে আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আপনাদের কিছুটা উপকারে আসার চেষ্টা
করব। আমি নিজেও একজন ছাএ, শিখছি আরো শিখব। আমারও ভুল হতে পারে আর ভুল হলে
চলুন আমরা আগে লিখনির মাধ্যমে প্রেকটিস করার আগে কিছুটা নিজেকে চাঙ্গা করি
যে কোন ভাষার ক্ষেএে গ্রামার বা ব্যাকরণ হচ্ছে ঐ ভাষার এবং পর্যায় ক্রমিক
দিক দিয়ে শেষ অবস্থান ( Final stage). ভাষার পর্যায়ক্রমিক দিক হচ্ছে শোনা
( Hearing ) , বোঝা ( Understanding) , কথা বলা ( Speaking ) , পড়া ( Reading ) এবং সর্বশেষ
লেখা ( Writing ) . জন্মের পর একটি শিশু প্রথমে কোন কিছু শোনে বোঝার চেষ্টা করে।
তারপর কথা বলতো শিখে। পরবর্তী ধাপে শিশুটি পড়তে শিখে তারপর সর্বশেষ লিখতে
শিখে। অথ্যাৎ লিখা হচ্ছে পরিণত ( Matured) অবস্থার রুপ। কিন্তু আমাদের দেশের
ইংরেজী শিক্ষা ব্যবস্থার মূল কাঠামোটি লক্ষ্য করুন। একটি ছোট শিশুকে
প্রাথমিক অবস্থা থেকেই Grammar বা ব্যাকরণেরর অনুশীলন বা চর্চা করানো হয়।
কিন্তু সর্বশেষ পরিস্থিতি কি দাড়াঁয়? আমারা আজকে যারা উচ্চশিক্ষিত,
ছোটবেলা থেকে ব্যাকরণের অনুশীলন শুরু করে অর্নাস মাস্টার্স পর্যন্ত
পড়ালেখা শেষ করেও ইংরেজীতে ভালোভাবে কথাপকথন করতে পারিনাহ। মূলত
ব্যবহারিক জীবনে আমারা যে সকল বিষয়ের উপর কথাবার্তা বলি, সেখানে পুরোপুরি
ব্যাকরণ নির্ভর করে বাক্য ব্যবহারের ক্ষেএে অনেকটা শিতিলতা রেয়েছে।
কিন্তু লেখার ক্ষেএে ব্যাকরণের যাবতীয় নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হয়। যেমন :
আমরা যখন কাওকে জিজ্ঞাসা করি- Are you going to Dhaka? (আপনি কি ঢাকা যাচ্ছেন? )
কিন্তু বলার ক্ষেএে উপরোক্ত বাক্যটিকে প্রশ্নবোধক সুরে বলা হয়, You are going
to Dhaka? এই বাক্যটি কথোপকথনের আঙ্গিকে সঠিক কিন্তু লিখার ক্ষেএে নয়।
এখানেই কথোপকথনেরর সাথে লেখার ( Written) পার্থক্য।
প্রবাদে আছে, ‘বিন্দু বিন্দু জল দিয়ে সাগর মহাসাগর গড়ে ওঠে’। পৃথিবীর
প্রত্যেকটি বৃহৎ বা মহৎ জিনিসের শুরু কিন্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস দিয়ে।
ইতিহাস তা-ই বলে। একজন মানুষ কোনো কিছু মায়ের গর্ভ থেকে শিখে আসে না। এই
পৃথিবীর ছায়াতলে বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে এক এক মানুষ এক একভাবে জীবন
গড়ে তোলে। কিন্তু আমাদের দেশে এর অনেকটা ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। যেমন,
ইংরেজীতে কথা বলার কথাই ধরুন। একজন শিক্ষার্থী যখন প্রথম প্রথম ইংরেজী
বলতে শুরু করে, তখন তার পাশের লোকজন, প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব এমনকি নিজের
ভাই-বোন বিভিন্ন ধরনের সমালোচনাসহ বাক্যে ব্যাকরণের ভুল ধরার জন্য মরিয়া
হয়ে ওঠে। ক্ষণে ক্ষণে কথায় কথায় এটা ভুল, সেটা ভুল বলে ঐ শিক্ষার্থীর সকল
উৎসাহ-উদ্দীপনা নিঃশেষ করে দেয়। আর এ কাজ অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিও করে
থাকেন। অথচ উচিত ছিল ঐ শিক্ষার্থীকে সকলে মিলে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য আরো
বেশি উৎসাহিত করা। কারণ Spoken English বা কথোপকথনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে
‘জড়তা’ (Nervousness)। আর এই জড়তা কাটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে বেশি বেশি কথা
বলা। শিশু জন্মের পরপরই হাঁটতে পারে না বা কথা বলতে পারে না কিন্তু কিছুদিন
পর ঠিকই সে সবকিছু করতে পারে। একটি শিশু যখন প্রথমে এক পা দু পা করে হাটতে
শুরু করে বার বার নিচে পড়ে যায়, তখন কিন্তু আমরা সবাই হাত তালি দিয়ে
বিভিন্নভাবে উচ্চৈংস্বরে তাকে প্রশংসা করি। অর্থাৎ সব কিছু প্রাথমিক
অবস্থায় খুব দুর্বল থাকে। ইংরেজিতে জড়তা দূর করতে হলে আপনাকে লজ্জা দূরে
সরিয়ে, সকল আলোচনা-সমালোচনা পেছনে ফেলে বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী,
আত্মীয়স্বজন সকলের সাথে সকল স্থানে বেশি করে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে।
স্বামী বিবেকানন্দের নাম আমরা প্রায় সবাই জানি। তিনি হিন্দুধর্মের একজন
বড় সাধু ছিলেন। তিনি একদিন আমেরিকান শিকাগো শহরে নিজের ধর্ম প্রচারের জন্য
একটি সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, কিন্তু ইংরেজিতে দক্ষ ছিলেন না বলে বার
বার তার কথা আটকে যাচ্ছে অর্থাৎ ঠিকমত এবং দ্রুত বলতে পারছিলেন না। তিনি
অত্যন্ত লজ্জিত বা অপমানিত বোধ করলেন। স্থির করলেন কিছুদিন জঙ্গলে
কাটাবেন। তারপর জঙ্গলে কিছুদিন থাকার পর ইংরেজিতে এতো দ্রুত এবং সুন্দর
কথা বলতে পারতেন যা ইতিহাসে একটি নজির। জঙ্গলে তিনি অবাধে পশুপাখি,
গাছপালাকে লক্ষ্য করে নিজে নিজে ইংরেজি বলা চর্চা করেছিলেন। ফলে তার সকল
জড়তা বা লাজুকতা কেটে গেল। এবং তিনি পৃথিবীতে একজন নামকরা বক্তা হিসেবে
স্বীকৃতি পেলেন।
(Person)
আমি – I /We
তুমি – You/You
বাকি সব – Any Name ( Karim,Rahima,Father Etc.)
(Sentence)
একটি Simple Sentence এর Structure হল:-
Subject + Verb + Object.
I Eat Rice.
I= Subject
Eat= Verb
Rice= Object (*এক বা একাদিক শব্দও Object হয়।)
(Tense)
Tense is the soul of English Grammar. Tense কে ইংরেজি গ্রামারের আত্মা বলা হয়। একটু
প্রেকটিস করলেই সহজে Tense আয়ত্তে আনা যাই। ছোট কাল থেকেই আমরা Tense পরে
আসতেছি তাই Tense নিয়ে বিষদ আলোচনা করলাম নাহ আর। Tense প্রধানত ৩ ভাগে
বিভক্ত।
1. Present Tense.
2. Past Tense.
3. Future Tense.
1. Indefinite
2. Continuous
3. Perfect
4. Perfect Continuous
ইংরেজীতে কথাবার্তা বলতে গেলে Tense-এর ১২টি ভাগ জানার দরকার নেই। তিন
Indefinite Tense অর্থাৎ ,
-> Present indefinite
-> past Indefinite
-> Future Indefinite এবং
-> Present Perfect Tense
ওপরের Tense-এ ‘ইয়াছ বা ইয়াছি’ দেখে অনেকে হয়ত ভাবছেন, এটা কি করে সম্ভব? আমরা
জানি ‘ ইয়াছ বা ইয়াছি ‘ থাকে Present perfect tense নির্দেশ করতে। নিচের দুটু
উদাহরণ
ওপরের Tense-এ ‘ইয়াছ বা ইয়াছি’ দেখে অনেকে হয়ত ভাবছেন, এটা কি করে সম্ভব? আমরা
জানি ‘ ইয়াছ বা ইয়াছি ‘ থাকে Present perfect tense নির্দেশ করতে। নিচের ২টি উদাহরণ
লক্ষ করন :
(২) Future Indefinite Tense: বাংলা বাক্যের শেষে ‘ব’ থাকলেই এই Tense সহজে চেনা যায়।
যেমন:
তুমি কখন আসবে? When will you come?
সে আগামীকাল কখন ফোন করবে? When he will phone tomorrow?
(3) Present Perfect Tense: কথোপকথনে এই Tense টি নিচের দুটি Form-এ ব্যবহৃত হয় :
i. কত সময় ধরে কোন কাজ চলছে : How long have/has…. verb pp
ii. তুমি/সে কি কখনো কোনো কারেছো/করেছে বুঝালে: Have you ever… Verb pp
[ বিঃ দ্রঃ সমস্ত Present Perfect Continuous tense -কে Present Perfect tense -এ প্রকাশ
করা যায়।]
(৪) Present Indefinite tense: বাংলা বাক্যের সাধারণ form বা গঠন যেমন- করা, যাওয়া,
আসা,খাওয়া ইত্যাদি বোঝালে এই Tense নির্দেশিত হয়।
যেমন : তুমি এখানে কিভাবে আস্সো? How do you come here?
তোমার বন্ধু কখন তোমাকে ফোন করে? When does your friend phone you?
(Article)
The : কোন কিছুকে নিদিষ্ট করে বুঝালে। অথ্যাৎ কোন বাক্যে টা/টি থাকলে
(পরিমাণ নয়) The বসবে।
(Preposition)
আমাদের গ্রামার পাট শেষ। যদিও এটি ৪৫-৬০ মিনিটের একটা ক্লাসে সহজে বুঝিয়ে
দেয়া যায় এখানে একটু বড় মনে হতে পারে।
এবার চলুন Sentence টাকে একটু বড় করে বলি। দেখি ওই একটা Sentence দিয়ে আরো কথা
বলতে পারি যা আমাদের প্রতিদিন কাজে লাগে।
Sentence টা ঠিক। কিন্তু কথায় আছে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। তাই চলুন আমরা
আমাদের ব্যবহারে আরো মাধুয্যতা নিয়ে আসি। মানে Sentence-টাকে আরো সুন্দর করে
বলি।
Please give me a glass of [Water]. ( দয়া করে আমাকে এক গ্লাস পানি দেন। )
May you give me a glass of [Water] please? ( আপনি কি দয়া করে আমাকে একগ্লাস পানি
দিতে পারেন? )
আহা!! কত সুন্দর চাওয়ার ভঙ্গি তাইনাহ?? কথায় আছে মানুষ কথা দিয়ে সমাজ্য জয়
করতে পারে। এত সুন্দর করে কারো থেকে কিছু চাইলে সে কখনো আপনাকে না দিয়ে
পারবেনাহ। এতে সেও খুশি হবে আর আপনি ও আত্ম-তৃপ্তি পাবেন।
চলুন এবার আরেকটি Sentence দিয়ে দৈনিক আরো কথোপকথন চালানোর চেষ্টা করিঃ-
এবার আপনি [.] এর জায়গায় প্রয়োজনীয় Word ( যেমন : Room, wash-room, Kitchen,
Ramu,Chittagong, Dhaka, Shylet, Market, class, School, College, office, Shop, Gym, Field,
Etc. ) বসিয়ে practice করুন।
মনে রাখবেন Practice ছাড়া আপনি Sentence গুলোর ব্যবহার আয়ত্তে আনতে পারবোনাহ আর
ইংরেজীতেও কথা বলতে পারবেন নাহ।
উপরের বাক্যগুলো চর্চা করা হলে দেখবেন আপনি ইংরেজীতে কথা বলতে পারছেন।
দৈনন্দিন টুকিটাকি ৮০% কথাই ইংরেজীতে বলতে পারছেন।
চলুন নিচে কিছু Formula শিখে নিই যা দিয়ে আমরা সহজে অনেক কথা বলতে পারব।
Positive | Negative
সবশেষ একটা কথাই বলব ” To succeed in life you need two things ignorance and confidence.”
আমি মনে করি পৃথিবীতে আমরা কেও পরিপূর্ণ জ্ঞানী / শিক্ষিত নয়। আমি নিজেও
একজন সকল বিষয়ের ছাএ, শিখছি, শিখব। শিখার কোন শেষ নাই, নাই কোন বয়স। আমি আমার
ক্ষুদ্র জ্ঞানে আপনাদের উপকারে আসার চেষ্টা করেছি। আমি কোন দিক দিয়ে
এক্সপার্ট কেও নয়। তবে আমি লিখার চেয়ে প্রাকটিকেল ভাবে বোঝাতে সক্ষম বেশী
বলে মনে করি। আর সবার পরে বুঝার চেয়ে প্রাকটিকেলি বেশী সহজে বুঝে। তবু আমি
চেষ্টা করেছি বিষয়গুলোকে যত সহজে সম্ভব আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা যায়
করতে। তবু আপনাদের কোন প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। আমি
চেষ্টা করব আপনাদের যাতে উপকারে আসতে পারি।
আসুন আমরা অন্যের সমালোচনা বাদ দিয়ে নিজের সমালোচনা করি। তাহলে আমরা জানতে
পারব, শিখতে পারব, পারব এগিয়ে যেতে |