সাইপ্রাসের জরুরি অবস্থা
সাইপ্রাসের জরুরি অবস্থা ১৯৫৫ সালের পহেলা এপ্রিলে ঘোষণা করা হয় এবং তা ১৯৫৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এটি ব্রিটিশ সাইপ্রাসে সংগঠিত হওয়া একটি সামরিক অভিযানের সহগামী ব্যবস্থা। এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল যা মূলত গ্রীক সাইপ্রীয় সংগ্রামী দল, সাইপ্রীয় যোদ্ধাদের জাতীয় সংগঠন (ইওকা) কর্তৃক, সাইপ্রাস থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করে গ্রীসের সাথে সংযুক্তির জন্য একটি বিদ্রোহী আন্দোলন ছিল। ব্রিটিশ এবং ইওকা উভয়েই গ্রীসের সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে তুর্কি সাইপ্রীয় দল, তুর্কি প্রতিরোধ সংগঠনের (টিএমটি) সাথে বিরোধিতা করে। ১৯৬০ সালে এটা সাইপ্রাসকে স্বাধীনতা এনে দিতে ভূমিকা রাখে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৯৫৪ সালে ব্রিটেন তার সুয়েজ সামরিক প্রধানকার্যালয়কে (প্রধান সেনাপতির কার্যালয়, মধ্য প্রাচ্য)[৪] সাইপ্রাসে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ ১লা এপ্রিল ১৯৫৫ সালে শুরু হয়। পরপর কিছু সহিংসতা ঘটার পর, গভর্নর জেনারেল স্যার জন হার্ডিং ঐ বছরের ২৬ নভেম্বর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।[৫]
ইওকার কার্যকরী বুদ্ধিমত্তায় সংখ্যাধিক্য গ্রীক সাইপ্রীয় জনগণ সহায়তা করা এবং/বা তাদের ভয় পাওয়ার জন্য ব্রিটিশরা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হয়। সুয়েজ সংকট এবং মালয়ান জরুরি অবস্থার ফলে তারা মানবসম্পদের অচলাবস্থার দ্বারাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ১৯৫০-এর দশকের শেষ দিকে ব্রিটিশরা অধিক সাফল্য পায়। আক্রোটিরি ও ধেকেলিয়ায় দুটি সার্বভৌম এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ১৯৬০ সালে ব্রিটেনের সাথে সাইপ্রাস একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- মালয়ান জরুরি অবস্থা (১৯৪৮–৬০)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Find your ancestors in Cyprus Emergency Deaths 1955 - 1960
- ↑ ক খ CYPRUS 1954-1959 SGM Herbert A. Friedman (R) and Brigadier General Ioannis Paschalidis
- ↑ CYPRUS 1954-1959 SGM Herbert A. Friedman (R) and Brigadier General Ioannis Paschalidis "The TMT, though smaller and less well organized, followed EOKA tactics..."
- ↑ Richard J. Aldrich, Ming-Yeh Rawnsley, The Clandestine Cold War in Asia, 1945–65: Western Intelligence, Propaganda and Special Operations, Routledge, 2013, 106.
- ↑ "State Of Emergency Declared In Cyprus."। The Central Queensland Herald (Rockhampton, Qld. : 1930–1956)। Rockhampton, Qld.: National Library of Australia। ১ ডিসেম্বর ১৯৫৫। পৃষ্ঠা 13। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৩।
আরো পড়ুন
[সম্পাদনা]- French, David (২০১৫)। Fighting EOKA: The British Counter-Insurgency Campaign on Cyprus, 1955–1959। Oxford: Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0198729341।
- Holland, Robert (১৯৯৮)। Britain and the Revolt in Cyprus, 1954–1959। Oxford: Clarendon Press। আইএসবিএন 9780198205388।
- Novo, Andrew R. (২০১০)। On all fronts: EOKA and the Cyprus insurgency, 1955-1959 (D.Phil Thesis)। University of Oxford।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Cyprus Exhibit at National Army Museum
- Cyprus – Fighting the EOKA