মিশরের সুলতান
মিশরের সুলতান দ্বারা ১১৭৪ খ্রিস্টাব্দে আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সালাহউদ্দিন মিশরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে মিশরে ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে উসমানীয়দের বিজয় পর্যন্ত সময়কালের শাসকদের বুঝানো হয়। যদিও মিশরের সালতানাতের সীমানা হ্রাস-বৃদ্ধি চলমান ছিল, কিন্তু প্রায় সবসময় এতে শাম এবং হেজাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। যার ফলে আইয়ুবীয় ও পরবর্তীতে মামলুক সুলতানদেরকেও সিরিয়ার সুলতান হিসেবে গণ্য করা হত। অবশ্য ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে মিশর ও সুদানের মুহাম্মাদ আলী রাজবংশের প্রধানরা উপাধিটি ব্যবহার করেছিল, কিন্তু এর কিছুকাল পরেই ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে উপাধিটি বিলুপ্ত করে মিশর ও সুদানের রাজা উপাধি দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল।
আইয়ুবীয় রাজবংশ
[সম্পাদনা]সালাহউদ্দিনের উত্থানের আগে মিশর ছিল শিয়া ফাতিমীয় খিলাফতের কেন্দ্র। ইসলামের ইতিহাসে এটিই একমাত্র সময়, যখন একটি খেলাফত ইসলামের শিয়া শাখার সদস্যদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। ফাতেমীয়রা দীর্ঘদিন ধরে ইরাকে অবস্থিত সুন্নি আব্বাসীয় খিলাফতকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছিল। তারা আব্বাসীয়দের মত খলিফা উপাধিও গ্রহণ করেছিল, যা ইসলামি শ্রেণিবিন্যাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শ্রেণি। যাইহোক, ১১৬৯ খ্রিস্টাব্দে সালাহউদ্দিনের ক্ষমতার উত্থানের কারণে মিশরে সুন্নিদের অবস্থান এবং আব্বাসীয় খিলাফতে ফিরে আসে। আব্বাসীয় খলিফাকে তার তাত্ত্বিক মর্যাদাকে স্বীকৃতি দিয়ে সালাহউদ্দীন ১১৭৪ খ্রিস্টাব্দে সুলতান উপাধি ধারণ করেন। এভাবে উসমানীয়দের মিশরে বিজয়ের আগপর্যন্ত খিলাফতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা মিশরের সুলতানের কাছে চলে আসে।
মামলুক রাজবংশ
[সম্পাদনা]১২৫০ খ্রিস্টাব্দে আইয়ুবীরা মামলুকদের কাছে পরাজিত হয়। মামলুকরা বাহরি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে সুলতান উপাধি ধারণ করে। উল্লেখযোগ্য বাহরি সুলতানরা হচ্ছেন- কুতুয; যিনি আইন জালুতের যুদ্ধে মঙ্গোল বাহিনী হালাকু খানের বাহিনীকে পরাজিত করে কিংবদন্তি হয়েছেন। আরেকজন হচ্ছেন, বাইবার্স; যিনি ক্রুসেডার রাজ্যকে সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত করে জেরুজালেমকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। বাহরিরা ১৩৮২ খ্রিস্টাব্দে মামলুকদের আরেকটি গোষ্ঠী বুরজী রাজবংশের কাছে পরাজিত হয়।
উসমানীয় সালতানাত এবং স্বায়ত্তশাসিত খেদিভাত
[সম্পাদনা]১৫১৭ খ্রিস্টাব্দের লড়াই মিশরে সালতানাতের অবসান ঘটায়। এই লড়াইয়ের পর থেকে মিশর উসমানীয় সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। এটি মামলুক সালতানাতের সাথেসাথে আব্বাসী খেলাফতের পূর্ণ সমাপ্তি হিসেবেও চিহ্নিত করে। কারণ, উসমানীয়রা সর্বশেষ আব্বাসী খলিফা মুতাওয়াক্কিল তৃতীয়কে বন্দী করেছিল এবং তাকে সুলতান প্রথম সেলিমের কাছে "খলীফা" উপাধি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল। এরপর থেকেই মূলতঃ উসমানীয় সুলতানরা নিজেদেরকে মুসলিম বিশ্বের খলীফা হিসেবে গণ্য করতে থাকেন। উসমানীয়রা পরবর্তীকালে মিশরের বিষয়ে খুব কম আগ্রহ দেখিয়েছে। আর মামলুকরা দ্রুতই মিশরের মধ্যে তাদের বেশিরভাগ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে। তারপর অবশ্য তারা উসমানীয় খেলাফতের অধীনেই ছিলেন এবং উসমানীয়রা তাদের নেতাদেরকে বে উপাধিতে ভূষিত করে।
১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে উসমানীয় সাম্রাজ্যের নিয়োগ করা মিশরের গভর্নর হাইন আহমেদ পাশা নিজেকে মিশরের সুলতান এবং উসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি তার শাসনকে প্রমাণ করার জন্য নিজস্ব মুদ্রা তৈরী করেছিলেন। কিন্তু খুব দ্রুতই পারগালি ইব্রাহিম পাশা একটি উসমানীয় সৈন্যবাহিনী নিয়ে তাকে পরাজিত করে বন্দী ও হত্যা করেন। ইব্রাহীম পাশা গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত হন, পরবর্তীতে হাদিম সুলেইমান পাশা উসমানীয় ভিতকে মিশরে শক্তিশালী করেন।
১৮০১ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়নের বাহিনী মিশরে পরাজিত হবার পর মুহাম্মদ আলি পাশা মিশরের ক্ষমতা দখল করে নিজেকে মিশরের শাসক ঘোষণা করেন। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে উসমানীয় সুলতান তৃতীয় সেলিম অনিচ্ছায় তাকে উসমানীয় রাজত্বের অধীনস্থ গভর্নর হিসেবে স্বীকৃতি দেন। মুহাম্মদ আলি প্রকৃতপক্ষে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হওয়ার পরও নিজেকে খেদিভ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। আর তিনি মিশরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে শাসন করছিলেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্থলে নিজের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মুহাম্মদ আলি দ্রুতই আধুনিকীকরণ ও সামরিকীকরণ কর্মসূচী শুরু করেন এবং মিশরের সীমানা দক্ষিণে সুদান ও উত্তরে সিরিয়ায় প্রসারিত করেন। এই প্রত্যাশায় শেষপর্যন্ত তিনি উসমানী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত মহা শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপে মুহাম্মদ আলি নিজের সীমাবদ্ধতা উপলব্ধি করেন ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনস্থ স্বীকার করে নেন। তার মৃত্যুর পর উসমানীয় পোর্টে মুহাম্মদ আলি রাজবংশকে দেশের বংশীয় শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়।
মুহাম্মদ আলির নাতি প্রথম ইসমাইল ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে মিশরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। ক্রমবর্ধমান মিশরের শক্তিবৃদ্ধি, উসমানীয় শক্তি অবনতি আর প্রকাশ্য ঘুষের বিনিময়ে উসমানীয় সুলতান আব্দুল আজিজ ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে মিশরীয় শাসকদেরকে খেদিভ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়। ইসমাইল আফ্রিকা পর্যন্ত মিশরের সীমানা প্রসারিত করেছিলেন। এছাড়া উসমানীয় সাম্রাজ্যের ধারাবাহিক ক্ষয়ের কারণে ইসমাইল বিশ্বাস করতেন যে, খুব দ্রুতই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মিশরকে স্বাধীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। এমনকি ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিজেকে মিশরের সুলতান ঘোষণা করতে সুয়েজ খাল খনন করার চিন্তা করেছিলেন। তবে তাকে মহা শক্তিগুলো দ্বারা এর থেকে বিরত করা হয়েছিল, যারা উসমানীয় ক্ষমতার আরও ক্ষয়ের আশঙ্কা করছিল। শেষপর্যন্ত ইসমাইলের রাজত্ব ব্যর্থতায় শেষ হয়। তার উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলোর বিপুল ঋণের কারণে ইউরোপীয় ও উসমানীয়রা সুযোগ পায়। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ও উসমানীয়দের চাপের কারণে সে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং তার সন্তান তাওফিক পাশাকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে ওরাবীর বিদ্রোহের ফলে খেদিভ তাওফিক গ্রেট ব্রিটেনকে মিশরে আক্রমণ করতে আমন্ত্রণ জানায়। ব্রিটেন পরবর্তী কয়েক দশক দেশটিতে দখলদারিত্ব চালিয়ে যায়।
মিশরীয় সালতানাতের পুনরুদ্ধার
[সম্পাদনা]১৮৮২ খ্রিস্টাব্দ থেকে মিশরের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো বেশ জটিল হয়ে যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে মিশর ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রদেশ, আধিকারিক ক্ষমতাবলে এটি ছিল কার্যত রাজতান্ত্রিক স্বাধীন রাষ্ট্র; যার সশস্ত্র বাহিনী আর সুদান যার অধীনস্থ ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটি হয়ে যায় ব্রিটিশদের পুতুল। মিশরে উসমানীয় সার্বভৌমত্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে। যখন উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কেন্দ্রীয় শক্তিতে যোগদান করে। ব্রিটিশবিরোধী খেদিভ আব্বাস হিলমি পাশা উসমানীয়দের সমর্থন করবে বলে ব্রিটিশদের ধারণা ছিল। তাই তার চাচা হুসাইন কামেলকে দিয়ে তাকে পদচ্যুত করে মিশরকে ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্য ঘোষণা করে। উসমানীয় শাসনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির প্রতীক হিসেবে হুসাইন কামেল সুলতান উপাধি গ্রহণ করে। এরপর তার ভাই প্রথম ফুয়াদ ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনিও সুলতান উপাধি বজায় রাখেন, যদিও তারা উভয়েই ব্রিটিশের অধীন ছলেন। হুসাইন কামেল আর ফুয়াদ উভয়েই সুদানকে মিশরের অধীনস্থ রেখেছিলেন। মিশরীয় জাতীয়তাবাদীরা উভয়কেই "মিশর ও সুদানের সুলতান" হিসেবেই ঘোষণা করে আসছিল।
ব্রিটিশ দখলদারিত্বের কারণে জাতীয়তাবাদীদের ক্ষোভ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। শেষপর্যন্ত ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেন মিশরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। যাইহোক, এরপর সুলতান উপাধিটি বাদ দেয়া হয়েছিল। এর পরিবর্তে রাজা বা মালিক উপাধি গ্রহণ করা হয়। মিশরীয় জাতীয়তাবাদী নেতা সাদ জগলুল, যিনি ব্রিটিশদের দ্বারা নির্বাসিত হয়েছিলেন; তিনি উল্লেখ করেন যে, ব্রিটিশরা তাদের নিজস্ব রাজার চেয়ে ক্ষমতাশালী করে একজন সার্বভৌম মিশরীয় শাসককে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল। (উপাধির ক্রমবিন্যাস হিসেবে, সুলতানের ক্ষমতা সম্রাটের সাথে তুলনীয়, যিনি এতটা সার্বভৌম যে- তিনি কোনো ধর্মনিরপেক্ষ শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেননা।) উপাধি পরিবর্তনের আরেকটি কারণ দেখানো হয় যে, এটি সেসময়ের মিশরের ক্রমান্বয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে এগিয়ে যাওয়াকে প্রতিফলিত করছিল। কারণ, সুলতান শব্দে ইসলামের একটি আমেজ রয়েছে, যা রাজা বা মালিকের মত অন্য আরবী শব্দগুলোতে নেই।
ক্রমাগত ব্রিটিশ দখলে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী ক্ষোভ ব্রিটেনকে ১৯২২ সালে মিশরের স্বাধীনতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করে। যাইহোক, সুলতান উপাধিটি বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং রাজার সাথে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী নেতা সাদ জাগলুল, যিনি পরে ব্রিটিশদের দ্বারা নির্বাসিত হয়েছিলেন, বজায় রেখেছিলেন যে ব্রিটিশরা তাদের নিজস্ব রাজাকে ছাড়িয়ে যাওয়া একজন সার্বভৌম মিশরীয় শাসককে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল (উপাধির শ্রেণিবিন্যাসে, ইরানে শাহের মতো সুলতান, সম্রাটের সাথে তুলনীয়), একজন সার্বভৌম যিনি কোন ধর্মনিরপেক্ষ শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেন না)। শিরোনাম পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাবিত আরেকটি কারণ হল, এটি সেই সময়ে মিশরের ক্রমবর্ধমান ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রতিফলিত করেছিল, কারণ সুলতানের ইসলামিক ভারসাম্য রয়েছে, যেখানে রাজা, মালিকের জন্য আরবি শব্দ নেই।
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মিশরীয় বিপ্লবের সময় ফুয়াদের পুত্র প্রথম ফারুককে উৎখাত করার পর, ফ্রি অফিসাররা সুদানের উপর নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রমাণ করতে এবং ব্রিটিশদের দখলদারিত্ব প্রত্যাখ্যান করতে তার শিশুপুত্রকে সুলতান ঘোষণা করার কথা বিবেচনা করেছিল। কিন্তু যেহেতু বিপ্লবীরা ইতোমধ্যে ক্ষমতায় তাদের দখল সুসংহত করার পর মিশরীয় রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল; তাই তারা এটাকে বাতুলতা ভেবে ফারুকের পুত্র দ্বিতীয় ফুয়াদকে যথাযথ রীতিতে রাজা ঘোষণা করেছিল। পরের বছর ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই জুন বিপ্লবী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে এবং মিশর একটি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
সুলতানদের তালিকা
[সম্পাদনা]আইয়ুবীয় রাজবংশ
[সম্পাদনা]- সালাহউদ্দিন (১১৭১-১১৯৩)
- আজিজ (১১৯৩-১১৯৮)
- মনসুর (১১৯৮-১২০০)
- প্রথম আদিল (১২০০-১২১৮)
- কামিল (১২১৮-১২৩৮)
- দ্বিতীয় আদিল (১২৩৮-১২৪০)
- সালিহ আইয়ুব (১২৪০-১২৪৯)
- তুরানশাহ (১২৪৯-১২৫০)
- দ্বিতীয় আশরাফ (১২৫০-১২৫৪) (নামকাওয়াস্তে, প্রকৃতপক্ষে মামলুক আইবাক শাসন করেছিলেন)
মামলুক সালতানাত
[সম্পাদনা]
সালিহী মামলুক বাহরি রাজবংশ বুরজী রাজবংশ | ||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ক্রম | বাদশাহী উপাধী | আসল নাম | শাসনকাল শুরু | শাসনকাল সমাপ্ত | জাতিসত্ত্বা | অন্যান্য পাদটীকা | মুদ্রা | |||
১ম | মালিকুল মুইয | ইযযুদ্দিন আইবাক | ৩১ জুলাই ১২৫০[১] | ১০ এপ্রিল ১২৫৭[২] | তুর্কমেনীয় | আইয়ুবীয় সুলতান আস সালিহ আইয়ুবের অধীনস্থ মধ্যম পর্যায়ের একজন মামলুক। পরবর্তীতে সালিহ আইয়ুবের বিধবা স্ত্রী শাজারাতুদ দুরকে বিয়ে করেন। শাজারাতুদ দুর ২ মে ১২৫০ থেকে ইযযুদ্দীনের শাসন শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত শাসন করেছেন।[১] | ||||
২য় | মালিকুল মানসুর | নুরুদ্দীন আলী | ১৫ই এপ্রিল ১২৫৭[৩] | নভেম্বর ১২৫৯[৩] | তুর্কমেনীয় | আইবাকের সন্তান | ||||
৩য় | মালিকুল মুযাফফর | সাইফুদ্দীন কুতুয | নভেম্বর ১২৫৯[৩] | ২৪শে অক্টোবর ১২৬০[৩] | খাওয়ারেজমীয় তুর্কী[৪] | একজন আইবাকীয় মামলুক। মুইযযিয়ার আমলে আইবাকের আইবাকের প্রধান সহকারী এবং আলীর সালতানাতের প্রভাবশালী ব্যক্তি।[৫][৬] | ||||
৪র্থ | মালিকুয যাহির | রুকনুদ্দীন বাইবার্স | ২৪শে অক্টোবর ১২৬০[৩] | ১লা জুলাই ১২৭৭[৩] | কিপচাক তুর্কীয় | বাহরি মামলুক এবং বাহরি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা।[৫] | ||||
৫ম | মালিকুস সাইদ | নাসিরুদ্দিন বারাকাহ | ৩রা জুলাই ১২৭৭[৩] | আগস্ট ১২৭৯[৩] | কিপচাক তুর্কীয় | বাইবার্স এবং তার স্ত্রী ছিল হুসামুদ্দীন বারাকা খানের কন্যা। বারাকা একজন খাওয়ারেজমীয় যোদ্ধাধ্যক্ষ ছিলেন। তার নামেই বারাকার নামকরণ করা হয়।[৪][৭] | ||||
৬ষ্ঠ | মালিকুল আদিল | বদরুদ্দীন সালামিশ | আগস্ট ১২৭৯[৩] | নভেম্বর ১২৭৯[৩] | কিপচাক তুর্কীয় | বাইবার্সের সন্তান। | ||||
৭ম | মালিকুল মানসুর | সাইফুদ্দীন কালাওন | নভেম্বর ১২৭৯[৩] | ১০ নভেম্বর ১২৯০[৩] | কিপচাক তুর্কীয়[৮] | বাহরি মামলুক এবং বাইবার্সের প্রধান সহকারী। | ||||
৮ম | মালিকুল আশরাফ | সালাহউদ্দীন খলীল | ১২ নভেম্বর ১২৯০[৩] | ১২ ডিসেম্বর ১২৯৩[৩] | কিপচাক তুর্কীয় | কালাওনের সন্তান। | ||||
৯ম | মালিকুন নাসির | নাসিরুদ্দীন মুহাম্মাদ | ১৪ ডিসেম্বর ১২৯৩[৩] | ডিসেম্বর ১২৯৪[৩] | কিপচাক তুর্কীয় | কালাওনের সন্তান। প্রথম রাজত্বকাল। | ||||
১০ম | মালিকুল আদিল | যাইনুদ্দীন কিতবুগা | ডিসেম্বর ১২৯৪[৩] | ৭ ডিসেম্বর ১২৯৬[৩] | মঙ্গোল[৯] | একজন কালাওন মামলুক।[৯] | ||||
১১তম | মালিকুল মানসুর | হুসামুদ্দীন লিজান | ৭ ডিসেম্বর ১২৯৬[৩] | ১৬ জানুয়ারি ১২৯৯[৩] | সার্কাসীয়[৮] | একজন কালাওন মামলুক।[৯] রুকনুদ্দীন বাইবার্স জাশনাকিরের আত্মীয়।[৮] | ||||
১২তম | মালিকুন নাসির | নাসিরুদ্দীন মুহাম্মাদ | ১৬ জানুয়ারি ১২৯৯[৩] | মার্চ ১৩০৯[৩] | কিপচাক তুর্কীয় | ২য় রাজত্বকাল। | ||||
১৩তম | মালিকুল মুযাফফর | রুকনুদ্দীন বাইবার্স জাশনাকির | এপ্রিল ১৩০৯[৩] | ৫ মার্চ ১৩১০[৩] | সার্কাসীয়[৮] | একজন কালাওন মামলুক।[১০] হুসামুদ্দীন লিজানের আত্মীয়।[৮] | ||||
১৪তম | মালিকুন নাসির | নাসিরুদ্দীন মুহাম্মাদ | ৫ মার্চ ১৩১০[৩] | ৬ জুন ১৩৪১[৩] | কিপচাক তুর্কীয় | ৩য় রাজত্বকাল। | ||||
১৫তম | মালিকুল মানসুর | সাইফুদ্দীন আবু বকর | ৮ জুন ১৩৪১[৩] | আগস্ট ১৩৪১[১১] | কিপচাক তুর্কীয় | নাসিরুদ্দীন মুহাম্মাদ এবং তার উপপত্নী নারজিসের পুত্র।[১২] আবু বকরের সময়ে মূল ক্ষমতায় ছিল, কাওসুন। কাওসুন একজন মামলুক এবং নাসিরুদ্দীনের আমলের একজন উচ্চপদস্থ আমির।[১১] | ||||
১৬তম | মালিকুল আশরাফ | আলাউদ্দীন কুজুক | আগস্ট ১৩৪১[১৩] | ২১ জানুয়ারি ১৩৪২[১৪] | কিপচাক তুর্কীয় এবং তাতার | নাসির মুহাম্মাদ এবং তার তাতার উপপত্নী আরদু পুত্র।[১২] কাওসুন সে শিশু থাকাকালে তাকে সুলতান হিসেবে নির্বাচিত করে।[১১] | ||||
১৭তম | মালিকুন নাসির | শিহাবুদ্দীন আহমাদ | ২১ জানুয়ারি ১৩৪২[১৪] | ২৭ জুন ১৩৪২[১৫] | কিপচাক তুর্কীয় | নাসির মুহাম্মাদ এবং তার দাসী থেকে মুক্ত হওয়া উপপত্নী বায়াদের পুত্র।[১২] | ||||
১৮তম | মালিকুস সালিহ | ঈমাদুদ্দীন আবুল ফিদা ইসমাইল | ২৭ জুন ১৩৪২[১৪] | ৩ আগস্ট ১৩৪৫[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | নাসির মুহাম্মাদ এবং তার এক উপপত্নীর পুত্র। উৎসগুলোতে নাম জানা যায়নি।[১২] | ||||
১৯তম | মালিকুল কামিল | সাইফুদ্দীন শাবান | ৩ আগস্ট ১৩৪৫[১৬] | ১৮ সেপ্টেম্বর ১৩৪৬[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | নাসির মুহাম্মাদ এবং তার এক উপপত্নীর পুত্র। উৎসগুলোতে নাম জানা যায়নি। আবুল ফিদার সহোদর ভাই।[১২] | ||||
২০তম | মালিকুল মুযাফফর | সাইফুদ্দীন হাজ্জি | ১৮ সেপ্টেম্বর ১৩৪৬[১৬] | ১০ ডিসেম্বর ১৩৪৭[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | নাসির মুহাম্মাদ এবং তার এক উপপত্নীর পুত্র। উৎসগুলোতে নাম জানা যায়নি।[১২] | ||||
২১তম | মালিকুন নাসির | বদরুদ্দীন হাসান | ডিসেম্বর ১৩৪৭ | ২১ আগস্ট ১৩৫১[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | নাসির মুহাম্মাদ এবং তার উপপত্নী কুদার পুত্র। যিনি হাসানের শৈশবকালে মারা যান। প্রথম রাজত্বকাল। হাসান অত্যন্ত ছোট থাকতে সালতানাতের দায়িত্ব পান। আসল ক্ষমতা চারজন উচ্চপদস্থ আমিরের হাতে ছিল: শাইখুন নাসিরি, তাজুন নাসিরি, মানজাকুল ইউসুফি এবং বেবুগা কাসিমি। হাসান তাদের ক্ষমতার বিরোধিতা করলে তাকে গদি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। | ||||
২২তম | মালিকুস সালিহ | সালাহউদ্দীন সালিহ | ২১ আগস্ট ১৩৫১[১৬] | ২০ অক্টোবর ১৩৫৪[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | নাসির মুহাম্মাদ এবং তার স্ত্রী ও আমির তানকিযুল হুসামির কন্যা কুতলুমালিকের পুত্র।[১২] | ||||
২৩তম | মালিকুন নাসির | বদরুদ্দীন হাসান | ২০ অক্টোবর ১৩৫৪[১৬] | ১৬ মার্চ ১৩৬১[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | ২য় রাজত্বকাল। ইয়ালবুগা উমারির হাতে নিহত হন।[১৬] | ||||
২৪তম | মালিকুল মানসুর | সালাহউদ্দীন মুহাম্মাদ | ১৭ মার্চ ১৩৬১[১৬] | ২৯ মে ১৩৬৩[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | হাজ্জির পুত্র। আসল ক্ষমতা ইয়াবুগা উমারির হাতে ছিল। যে তাকে ক্ষমতা থেকে পদচ্যুত করে।[১৬] | ||||
২৫তম | মালিকুল আশরাফ | যাইনুদ্দীন শাবান (শাবান ২য়) | ২৯ মে ১৩৬৩[১৬] | ১৫ মার্চ ১৩৭৭[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | আমজাদ হুসাইনের (মৃ. ২১ জানুয়ারি ১৩৬৩) পুত্র। নাসির মুহাম্মাদের শেষ বেঁচে থাকা সন্তান ছিল আমজাদ, যে কখনো শাসনকার্য হাতে নেননি। যাইনুদ্দীনের মায়ের নাম খাওয়ান্দ বারাকা।[১৭] | ||||
২৬তম | মালিকুল মানসুর | আলাউদ্দীন আলী | ১৫ মার্চ ১৩৭৭[১৬] | ১৯ মে ১৩৮১[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | শাবান দ্বিতীয়ের পুত্র। শিশুকালে উত্তরাধিকার মনোনীত হন। আসল ক্ষমতা ইবেক ও কারতেই নামের আমিরদের কাছে ছিল। ইবেক নিহত হন আর বারকুকের কাছে ক্ষমতা চলে যায়। বারকুক ইয়ালবুগা নাসিরির মামলুক ছিলেন। | ||||
২৭তম | মালিকুস সালিহ | সালাহউদ্দীন হাজ্জি | ১৯ মে ১৩৮১[১৬] | ২৬ নভেম্বর ১৩৮২[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | আশরাফ শাবানের পুত্র। উত্তরাধিকারের সময় শিশু ছিল। আসল ক্ষমতা বারকুকের কাছে ছিল। |
সালিহী মামলুক বাহরি রাজবংশ বুরজী রাজবংশ | ||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ক্রম | বাদশাহী উপাধী | আসল নাম | শাসনকাল শুরু | শাসনকাল সমাপ্ত | জাতিসত্ত্বা | অন্যান্য পাদটীকা | মুদ্রা | |||
২৮তম | মালিকুয যাহির | সাইফুদ্দীন বারকুক | ২৬ নভেম্বর ১৩৮২ | ১ জুন ১৩৮৯[১৬] | সার্কাসীয় | ইয়ালবুগা উমারির মামলুক। আনাসের পুত্র। আনসকে বারকুক ১৩৮১ খ্রিস্টাব্দে মিশরে আনয়ন করেন এবং ইসলামে দীক্ষিত করেন। প্রথম রাজত্বকাল। বুরজি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত। | ||||
২৯তম | মালিকুস সালিহ | সালাহউদ্দীন হাজ্জি | ১ জুন ১৩৮৯[১৬] | জানুয়ারী ১৩৯০[১৬] | কিপচাক তুর্কীয় | ২য় রাজত্বকাল। বারকুকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কারণে সে সিংহাসন থেকে নামতে বাধ্য হয়।[১৬] বারকুক আবার ক্ষমতায় এলেও হাজ্জি কায়রোতে বসবাস করার অনুমতি পান। | ||||
৩০তম | মালিকুয যাহির | সাইফুদ্দীন বারকুক | ২১ জানুয়ারি ১৩৯০[১৬] | ২০ জুন ১৩৯৯[১৬] | সার্কাসীয় | ২য় রাজত্বকাল। | ||||
৩১তম | মালিকুন নাসির | নাসিরুদ্দীন ফারাজ | ২০ জুন ১৩৯৯[১৬] | ২০ সেপ্টেম্বর ১৪০৫[১৬] | সার্কাসীয় | বারকুকের পুত্র।[১৬] | ||||
৩২তম | মালিকুল মানসুর | ইযযুদ্দীন আব্দুল আজিজ | ২০ সেপ্টেম্বর ১৪০৫[১৬] | নভেম্বর ১৪০৫[১৬] | সার্কাসীয় | বারকুকের পুত্র।[১৬] | ||||
৩৩তম | মালিকুন নাসির | নাসিরুদ্দীন ফারাজ | নভেম্বর ১৪০৫[১৬] | ২৩ মে ১৪১২[১৬] | সার্কাসীয় | ২য় রাজত্বকাল। | ||||
৩৪তম | মালিকুল আদিল | মুসতাঈন বিল্লাহ | ২৩ মে ১৪১২[১৬] | ৬ নভেম্বর ১৪১২[১৬] | আরব | কায়রোতে আব্বাসী খলিফা। তাকে বুরজি আমির শায়খ মাহমুদী নিযুক্ত করেছিল। তবে পরে পদত্যাগে বাধ্য করে।[১৬] | ||||
৩৫তম | মালিকুল মুয়াইয়্যাদ | শায়খ মাহমুদী | ৬ নভেম্বর ১৪১২[১৬] | ১৩ জানুয়ারি ১৪২১[১৬] | সার্কাসীয় | একজন বারকুক মামলুক। | ||||
৩৬তম | মালিকুল মুযাফফর | আহমাদ | ১৩ জানুয়ারি ১৪২১[১৬] | ২৯ আগস্ট ১৪২১[১৬] | সার্কাসীয় | শায়খের পুত্র। শিশুকালে উত্তরাধিকার পেয়েছিল। | ||||
৩৭তম | মালিকুয যাহির | সাইফুদ্দীন তাতার | ২৯ আগস্ট ১৪২১[১৬] | ৩০ নভেম্বর ১৪২১[১৬] | সার্কাসীয় | একজন বারকুক মামলুক।[১৮] | ||||
৩৮তম | মালিকুস সালিহ | নাসিরুদ্দীন মুহাম্মাদ | ৩০ নভেম্বর ১৪২১[১৬] | ১ এপ্রিল ১৪২২[১৬] | সার্কাসীয় | তাতারের পুত্র। শিশুকালে উত্তরাধিকার পেয়েছিল।[১৬] | ||||
৩৯তম | মালিকুল আশরাফ | সাইফুদ্দীন বার্সবে | ১ এপ্রিল ১৪২২[১৬] | ৭ জুন ১৪৩৮[১৬] | সার্কাসীয় | একজন বারকুক মামলুক।[১৮] মুহাম্মাদের শিক্ষক ছিলেন। মুহাম্মাদকে ক্ষমতাহীন করেন।[১৬] | ||||
৪০তম | মালিকুল আজিজ | জামালুদ্দীন আবুল মাহাসিন ইউসুফ | ৭ জুন ১৪৩৮[১৬] | ৯ সেপ্টেম্বর ১৪৩৮[১৬] | সার্কাসীয় | বার্সবের সন্তান। শিশুকালে উত্তরাধিকার পেয়েছিল। | ||||
৪১তম | মালিকুয যাহির | সাইফুদ্দীন জাকমাক। | ৯ সেপ্টেম্বর ১৪৩৮[১৬] | ১ ফেব্রুয়ারি ১৪৫৩[১৬] | সার্কাসীয় | একজন বারকুক মামলুক।[১৮] | ||||
৪২তম | মালিকুল মানসুর | ফখরুদ্দীন উসমান | ১ ফেব্রুয়ারি ১৪৫৩[১৬] | ১৫ মার্চ ১৪৫৩[১৬] | সার্কাসীয় | জাকমাকের সন্তান।[১৬] | ||||
৪৩তম | মালিকুল আশরাফ | সাইফুদ্দীন ইনাল | ১৫ মার্চ ১৪৫৩[১৬] | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৪৬১[১৬] | সার্কাসীয় | একজন বারকুক মামলুক।[১৮] | ||||
৪৪তম | মালিকুল মুয়াইয়্যাদ | শিহাবুদ্দীন আহমেদ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৪৬১[১৬] | ২৮ জুন ১৪৬১[১৬] | সার্কাসীয় | ইনালের সন্তান।[১৬] | ||||
৪৫তম | মালিকুয যাহির | সাইফুদ্দীন খুশকদম | ২৮ জুন ১৪৬১[১৬] | ৯ অক্টোবর ১৪৬৭[১৬] | গ্রীক[১৬] | শায়খের একজন মামলুক।[১৮] | ||||
৪৫তম | মালিকুয যাহির | সাইফুদ্দীন বিলবে | ৯ অক্টোবর ১৪৬৭[১৬] | ৪ ডিসেম্বর ১৪৬৭[১৬] | সার্কাসীয় | শায়খের একজন মামলুক। | ||||
৪৬তম | মালিকুয যাহির | তৈমুরবুগা | ৪ ডিসেম্বর ১৪৬৭[১৬] | ৩১ জানুয়ারি ১৪৬৮[১৬] | গ্রীক[১৯] | জাকমাকের একজন মামলুক।[১৮] | ||||
৪৭তম | মালিকুল আশরাফ | সাইফুদ্দীন কেতবে | ৩১ জানুয়ারি ১৪৬৮[১৬] | ৭ আগস্ট ১৪৯৬[১৬] | সার্কাসীয় | বার্সবের মামলুক। | ||||
৪৮তম | মালিকুন নাসির | মুহাম্মাদ | ৭ আগস্ট ১৪৯৬[১৬] | ৩১ অক্টোবর ১৪৯৮[১৬] | সার্কাসীয় | কেতবের সন্তান।[১৬] | ||||
৪৯তম | মালিকুয যাহির | আবু সাঈদ কানশুহ | ৩১ অক্টোবর ১৪৯৮[১৬] | ৩০ জুন ১৫০০[১৬] | সার্কাসীয় | কেতবের একজন মামলুক।[২০] | ||||
৫০তম | মালিকুল আশরাফ | আবুন নাসির জাম্বালাত | ৩০ জুন ১৫০০[১৬] | ২৫ জানুয়ারি ১৫০১[১৬] | সার্কাসীয় | মূলতঃ আমির ইয়াশবাক মিন মাহদীর একজন মামলুক। তিনি জাম্বালাতকে কেতবের কাছে দেন। কেতবে তাকে মুক্ত করে দেন।[২১] | ||||
৫১তম | মালিকুল আদিল | সাইফুদ্দীন তুমানবে | ২৫ জানুয়ারি ১৫০১[১৬] | ২০ এপ্রিল ১৫০১[১৬] | সার্কাসীয় | কেতবের একজন মামলুক। | ||||
৫২তম | মালিকুল আশরাফ | কানুশ গাওরি | ২০ এপ্রিল ১৫০১[১৬] | ২৪ আগস্ট ১৫১৬[১৬] | সার্কাসীয় | তার মামলুক জাতিসত্ত্বা অস্পষ্ট। কিন্তু যেহেতু কায়রোর গাওর ছাউনিতে তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল, তাই তাকে গাওরি বলা হয়।[২২] সালতানাতে ক্ষমতা পাওয়ার আগে তিনি দশজন আমিরের একজন ছিলেন। এবং প্রাদেশিক গভর্নর ছিলেন।[২২] | ||||
৫৩তম | মালিকুল আশরাফ | তুমানবে ২য় | ১৭ অক্টোবর ১৫১৬[১৬] | ১৫ এপ্রিল ১৫১৭[১৬] | সার্কাসীয় | শেষ মামলুক সুলতান। |
হাইন আহমেদ পাশার বিদ্রোহ
[সম্পাদনা]- ১৫২৩ হাইন আহমেদ পাশা
মোহাম্মদ আলী রাজবংশ (১৯১৪-১৯২২)
[সম্পাদনা]- হুসাইন কামেল (মিশর ও সুদানের সুলতান) - ১৯ ডিসেম্বর ১৯১৪ - ৯ অক্টোবর ১৯১৭
- ফুয়াদ প্রথম (মিশর ও সুদানের সুলতান) - ৯ অক্টোবর ১৯১৭ - ১৬ মার্চ ১৯২২
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Northrup 1998, p. 69.
- ↑ Northrup 1998, p. 70.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র Stewart, John (২০০৬)। African States and Rulers। McFarland & Company। পৃষ্ঠা 86। আইএসবিএন 9780786425624।
- ↑ ক খ Hathaway, Jane (২০০৩)। Tale of Two Factions, A: Myth, Memory, and Identity in Ottoman Egypt and Yemen। State University of New York Press। পৃষ্ঠা 50–52। আইএসবিএন 9780791486108।
- ↑ ক খ Northrup, ed. Petry 1998, p. 250.
- ↑ Northrup 1998, p. 71.
- ↑ Thorau, Peter (১৯৯২)। The Lion of Egypt: Sultan Baybars I and the Near East in the Thirteenth Century। Longman। পৃষ্ঠা 261। আইএসবিএন 9780582068230।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Yosef 2012b।
- ↑ ক খ গ Northrup, ed. Petry 1998, p. 252.
- ↑ Tarikh, Volumes 5-6: Peoples and Kingdoms of West Africa in the Pre-Colonial Period। Longman। ১৯৭৪। পৃষ্ঠা 9। আইএসবিএন 9780582608733।
- ↑ ক খ গ Drory 2006, p. 20.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Bauden 2009, p. 63.
- ↑ Levanoni 1995, p. 102.
- ↑ ক খ গ Drory 2006, p. 24.
- ↑ Drory 2006, p. 28.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল শ ষ স হ ড় ঢ় য় ৎ কক কখ কগ কঘ কঙ কচ কছ কজ কঝ কঞ কট কঠ কড কঢ কণ কত কথ কদ কধ কন কপ কফ কব কভ কম কয কর কল কশ কষ কস কহ কড় কঢ় কয় কৎ খক খখ খগ খঘ খঙ খচ খছ খজ খঝ খঞ খট চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Egypt/3 History"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 09 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 80–130; see pages 101 to 103।
Decline of the Bahri power
- ↑ Al-Harithy, Howayda (২০০৫)। "Female Patronage of Mamluk Architecture in Cairo"। Beyond The Exotic: Women's Histories In Islamic Societies। Syracuse University Press। পৃষ্ঠা 332। আইএসবিএন 9780815630555।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Garcin, ed. Petry 1998, p. 293.
- ↑ Ali, Abdul (১৯৯৬)। Islamic Dynasties of the Arab East: State and Civilization During the Later Medieval Times। M.D. Publications Private Limited। পৃষ্ঠা 64। আইএসবিএন 9788175330085।
- ↑ Dobrowolski, Jarosław (২০০১)। The Living Stones of Cairo। American University in Cairo Press। পৃষ্ঠা 60। আইএসবিএন 9789774246326।
- ↑ Mayer, L. A. (১৯৩৩)। Saracenic Heraldry: A Survey। Clarendon Press। পৃষ্ঠা 127।
- ↑ ক খ Petry 1994, p. 20.
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফাতিমীয় খিলাফত |
মিশরীয় সার্বভৌমত্ব ১১৭১–১৫১৭ |
উত্তরসূরী ওয়ালী |
পূর্বসূরী খেদিভ |
মিশরীয় সার্বভৌমত্ব ১৯১৪–১৯২২ |
উত্তরসূরী মিশরের রাজা |