বিষয়বস্তুতে চলুন

বিদায় হজ্জের ভাষণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এই পাহাড়টি সেই স্থান যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সা.) দাঁড়িয়ে বিদায়-ভাষণ প্রদান করেছিলেন।

বিদায় হজ্জের ভাষণ ১০ম হিজরিতে অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ্জ পালনকালীন আরাফাতের ময়দানে ইসলাম ধর্মের শেষ নবিরাসুল মুহাম্মাদ (সা.) কর্তৃক প্রদত্ত খুৎবা বা ভাষণ। হজ্জের দ্বিতীয় দিনে আরাফাতের মাঠে অবস্থানকালে অনুচ্চ জাবাল-এ-রাহমাত টিলার শীর্ষে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সমবেত মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি এই ভাষণ দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ জীবিতকালে এটা শেষ ভাষণ ছিলো, তাই সচরাচর এটিকে বিদায় হজ্জের ভাষণ বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।[] ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিলো। মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর জীবনে একবারই হজ্জ পালন করেন, এটি ছাড়া আর কোন হজ্জ পালনের বর্ণনা হাদিস বা সিরাতে পাওয়া যায় না।

সংরক্ষণ

[সম্পাদনা]

ভাষণটি পূর্ণাঙ্গরূপে সংরক্ষিত হয়নি। বিভিন্ন হাদিস, তাফসির, ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থে আংশিক এবং খণ্ড খণ্ড আকারে তা সংকলিত হয়েছে। সকল হাদিসে বিদায় খুৎবার উদ্ধৃতি অন্তর্ভুক্ত আছে। বুখারী শরীফের ১৬২৩, ১৬২৬ এবং ৬৩৬১ নম্বর হাদিসে ভাষণের বিভিন্ন অংশ উধৃত করা হয়েছে। সহিহ মুসলিম শরিফে ৯৮ নম্বর হাদিসে বিদায় খুৎবা বর্ণিত হয়েছে। তিরমিজি শরিফের ১৬২৮, ২০৪৬ এবং ২০৮৫ সংখ্যক হাদিসে বিদায় খুৎবার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বিদায় খুৎবার দীর্ঘতম উদ্ধৃতি দিয়েছেন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ ‘মুসনাদ’-এর ১৯৭৭৮ সংখ্যক হাদিসে এই বর্ণনা পাওয়া যাবে।[]

তাৎপর্য

[সম্পাদনা]

ইসলাম ধর্ম যে ধাপে ধাপে ও পর্যায়ক্রমে পূর্ণতা পেয়েছিলো, তারই চূড়ান্ত ঘোষণা ছিলো মুহাম্মাদ (সা.)এই ভাষণ। এ কারণে সেদিন ভাষণ প্রদানকালে কুরআনের সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিলো[] :

এই ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। মুসলিম জাতির সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে মুহাম্মাদ চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল উপাসনামূলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও এতে ছিলো। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তার সার্বভৌমত্বের সাহ্ম্য, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে তাকওয়া বা দায়িত্বনিষ্ঠতার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং পাপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল্লাহ ও মানবসম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল ইবাদের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো। মুহাম্মদ এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং শয়তানের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরনের রিবার প্রচলন রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের ওপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো। মুহাম্মদের এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্ত্যের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসবকিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়েছিলো। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিলো। মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো।[]

হাদিসগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা

[সম্পাদনা]

সহিহ মুসলিম[], তিরমিজি[][], সুনান আবু দাউদ[], মুসনাদে আহমাদ[], সুনান ইবনে মাজাহ[১০][১১] গ্রন্থে উল্লিখিত যাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণিত বিদায় হজ্বের ভাষণের বর্ণনা পাওয়া যায়।

সহিহ মুসলিমের বর্ণনা[]

[সম্পাদনা]

[...] হিজরতের নয় বছর তিনি হজ্ব করেননি। এরপর দশম বছর এলে তিনি ঘোষণা দিলেন তিনি হজ্ব করবেন। [...] তিনি (মুহাম্মাদ) উপত্যকার নিচে আসলেন, এবং উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বললেন, "

তখন উপস্থিত জনগণ বলল, 'আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি (বার্তা) পৌঁছে দিয়েছেন, (নবুয়ত) পূর্ণ করেছেন, এবং আন্তরিক উপদেশ প্রদান করেছেন।' এরপর তিনি আকাশের দিকে তর্জনী তুললেন এবং তারপর উপস্থিত জনগণের দিকে তর্জনী নির্দেশ করে বললেন, 'হে আল্লাহ, সাক্ষী থাক! হে আল্লাহ, সাক্ষী থাক!'

সুনান ইবনে মাজাহর বর্ণনা[১১]

[সম্পাদনা]

এখানে ভাষণের বর্ণনাটি সহিহ মুসলিমের বর্ণনার প্রায় হুবহু অনুরূপ। কেবল 'যদি তারা তা করে তবে তোমরা তাদের প্রহার করতে পার, তবে গুরুতরভাবে না' অংশটি এভাবে আছে:

যদি তারা তা করে তবে তোমরা তাদের প্রহার করতে পার, তবে এমনভাবে নয় যাতে তারা আহত হয় কিংবা প্রহারের চিহ্ন রয়ে যায়।

সুনান আবু দাউদের বর্ণনা[]

[সম্পাদনা]

এখানে ভাষণের বর্ণনাটি সহিহ মুসলিমের বর্ণনার প্রায় হুবহু অনুরূপ। উল্লেখিত বর্ণনার সাথে মিলিয়ে এখানকার বর্ণনায় নিম্নোক্ত পরিবর্তনগুলো পরিলক্ষিত হয়:

তোমরা একে অপরের জানমালকে সেইরূপ পবিত্র মনে করবে যেইরূপ পবিত্র মনে মনে কর আজকের এই মাসের...

প্রথম হিসেবে যে রক্তপাতের (প্রতিশোধের বদলে) ক্ষতিপূরণের দাবী সৃষ্টি করছি, তা হল...

ইবনে রাবিয়া...

সিরাতগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা

[সম্পাদনা]

ইবনে ইসহাক[১২] ও আল জাহিজ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রায় হুবহু বর্ণনা প্রদান করেছেন।

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা[১২]

[সম্পাদনা]

অতঃপর তিনি বললেন,

আজকের এই দিন ও এই মাস যেমন পবিত্র; তোমাদের জান-মাল কিয়ামত পর্যন্ত তেমনই পবিত্র। তোমরা অবশ্যই তোমাদের প্রভুর সাথে মিলিত হবে এবং তিনি তোমাদের কাছে তোমাদের কর্মের হিসাব চাইবেন; আমি পূর্বেই বলেছিলাম।

কারো কাছে যদি কোনো আমানত রক্ষিত থাকে, তাহলে সে যেন তা আমানতকারীর কাছে পৌঁছে দেয়। সকল ধরনের রিবা (interest) রহিত করা হলো, তোমাদের কেবল মূলধনের ওপর অধিকার রইল। তোমরা যদি অন্যের ওপর অত্যাচার না কর, তাহলে নিজেরাও অত্যাচারিত হবে না। আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন কোন রকম রিবা থাকবে না, এবং আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের রিবা রহিত করা হল, সম্পূর্ণটুকু। অজ্ঞতার যুগে যত হত্যা হয়েছে তার কোনটারই আর প্রতিশোধ নেয়া হবে না। এর প্রথম হিসেবে আমি বাতিল করছি ইবনে রাবিয়া ইবনে আল-হারিস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের হত্যার প্রতিশোধ (যে বনি লাইস গোত্রে পালিত হয়েছে, যাকে হুযাইল হত্যা করেছে)। অজ্ঞতার যুগে ঘটে যাওয়া হত্যাসমূহের মধ্যে প্রথম তার হত্যা নিয়ে আমি সিদ্ধান্ত দিলাম।

তোমাদের ভূমিতে শয়তান আর কখনও উপাসিত হবে কি না সে ব্যাপারে হতাশ, তবে তোমরা তুচ্ছ মনে কর এমন বিষয়েও শয়তান উপাসিত ও সন্তুষ্ট হতে পারে, কাজেই দ্বীনের ব্যাপারে তার ব্যাপারে সতর্ক হও। পবিত্রমাসের পবিত্রতা অন্য সময়ে আরোপ করা বেদ্বীনের শামিল, এর মাধ্যমে আরবের কাফিরেরা পথভ্রস্ট হয়; তারা একবছর এ বিষয়ে মানলে পরের বছর মানে না। আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট পবিত্র মাসের সংখ্যাকে তারা নিজেদের মত করে বানায়, এভাবে এবিষয়ে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তাকে হারাম ঘোষণা করে, এবং আল্লাহ যা হারাম করেছেন তাকে হালাল ঘোষণা করে। সময়কাল পূর্ণ হয়েছে, এবং সময় সেরকম আছে যেরকমটি সেদিন ছিল যেদিন আল্লাহ সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর তৈরী মাসের সংখ্যা বার। এর মাঝে চারটি পবিত্র; তাদের মাঝে তিনটি ক্রমান্বয়ে, এবং চতুর্থটি মুদর গোত্রের রজব, যেটি জুমাদা এবং শাবান মাসের মধ্যে অবস্থিত।

তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, এবং তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের অধিকার এই যে তারা তোমার বিছানায় অন্য পুরুষের সাথে সম্ভোগে লিপ্ত হবে না এবং প্রকাশ্য ব্যভিচারে জড়াবে না। যদি তারা এসব করে, আল্লাহ তোমাদের অনুমতি দিয়েছেন যে তোমরা একটি পৃথক কক্ষে আটকে প্রহার করবে, তবে তা যেন বিষম পর্যায়ের না হয়। যদি তারা উল্লেখিত আচরণ থেকে বিরত থাকে, তবে তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে তোমরা সদয়ভাবে তাদের আহার ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করে দেবে। তাদেরকে সদয়ভাবে আদেশ দেবে, কেননা তারা তোমাদের আজ্ঞাধীন বন্দীর ন্যায়। তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছ, এবং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী তোমরা তাদেরকে সম্ভোগ কর, সুতরাং আমার কথাগুলো অনুধাবন কর। হে পুরুষসকল! আমি পূর্বেই বলেছিলাম।

আমি তোমাদের জন্য এমন কিছু রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা তা আঁকড়ে ধরে থাক তাহলে কখনোই পথভ্রস্ট হবে না - একটি সরল ইঙ্গিত, আল্লাহর কিতাব, এবং তাঁর রাসূলের জীবনাচরণ। সুতরাং আমি যা বলি মন দিয়ে শোন। জেনে রেখ প্রত্যেক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। এক ভাইকে অন্য ভাই স্বেচ্ছায় যা কিছু দেয়, শুধু সেটুকুই গ্রহণ করা শরীয়তসম্মত, কাজেই নিজেরা অন্যায় কর না। হায় আল্লাহ! আমি কি তোমাদের এ ব্যাপারে বলি নি?

উপস্থিত লোকেরা তখন বলল, 'হায় আল্লাহ! আপনি বলেছেন।' তখন মুহাম্মাদ বললেন, 'হে আল্লাহ! সাক্ষী থাক।' [...] আমি তাঁকে (মুহাম্মদ) বলতে শুনলাম:

আল্লাহ সবার পাওনা প্রস্তুত রেখেছেন। ওসিয়ত দ্বারা উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করা যাবে না। ভূমিষ্ঠ সন্তানকে হতে হবে 'বিছানার সন্তান' (বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে জন্মানো), এবং ব্যাভিচারীকে পাথর নিক্ষেপ করা হবে। যে ব্যক্তি প্রকৃত জন্মদাতা ব্যাতীত অন্য ব্যক্তির পুত্র বলে পরিচয় দেয়, যে ব্যক্তি নিজের মালিক সম্পর্কে মিথ্যা পরিচয় দেয় তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, ও সমগ্র মানবজাতির অভিশাপ থাকে। কোন প্রায়শ্চিত্ত দ্বারা এই পাপ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Last Sermon of our Beloved Prophet (saw)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. The Last Sermon of the Prophet Khutbatul Wada
  3. The Farewell Sermon[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "The Farewell Address of the holy Prophet Muhammad pbuh"। ৪ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১০ 
  5. Sahih Muslim. Kitab al-Hajj. Hadith 159. Sunnah.com
  6. Al-Tirmidhi Hadith, Number 104
  7. "তিরমিজি; 1163; Book 12, Hadith 18; English translation - Vol. 1, Book 7, Hadith 1163" 
  8. "সুনান আবু দাউদ; Hadith no. 1906; Book 11, Hadith 186; English Translation - Book 10, Hadith 1901" 
  9. Musnad Ahmad। ২৮ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  10. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৪ 
  11. "Sunan Ibn Majah, Hadith no. 3074; In book - Book 25, Hadith 193; English Translation - Vol. 4, Book 25, Hadith 3074" 
  12. ইবনে ইসহাক। সিরাত রাসুল আল্লাহ [The Life of Muhammed]। Guillaume, A. কর্তৃক অনূদিত। পৃষ্ঠা 651। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]