ডাই এনাদার ডে
ডাই এনাদার ডে | |
---|---|
পরিচালক | লি টামাহরি |
প্রযোজক | |
রচয়িতা | |
উৎস | ইয়ান ফ্লেমিং কর্তৃক জেমস বন্ড |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | ডেভিড আর্নল্ড |
চিত্রগ্রাহক | ডেভিড ট্যাটারসাল |
সম্পাদক | ক্রিশ্চিয়ান ওয়াগনার |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৩ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
নির্মাণব্যয় | $১৪২ মিলিয়ন[১] |
আয় | $৪৩১,৯৭১,১১৬[১] |
ডাই এনাদার ডে (২০০২) জেমস বন্ড সিরিজের, ২০তম চলচ্চিত্র যেটি ২০০২ সালে মুক্তি পায় । অভিনেতা পিয়ার্স ব্রসনান এজেন্ট জেমস বন্ড চরিত্র রুপায়ন করেন । এটি ছিল পিয়ার্স ব্রসনান অভিনীত চতুর্থ এবং শেষ জেমস বন্ড চলচ্চিত্র । জেমস বন্ড তার মিশন নিয়ে উত্তর কোরিয়া যায় । বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে এবং সেখানকার এক সেনাপতিকে হত্যা করার দায়ে বন্ডকে আটক করা হয় । দীর্ঘ ১৪ মাস পরে বন্ডকে মুক্তি দেওয়া হয় বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে । জেমস বন্ড সন্দেহ করে ব্রিটিশ সরকার এর মধ্যে থেকে কেউ তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে । তাই সে তার বিশ্বাসঘাতককে খুজতে থাকে । কোরিয়াতে বন্দি থাকার সময় যে এজেন্ট তার উপর অত্যাচার চালায়, তাকে হত্যা করে।
ডাই এনাদার ডে, চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন লী টামাহরি, যৌথভাবে প্রযোজনা করেন মাইকেল জি উইলসন এবং বারবারা ব্রককলি. জেমস বন্ড সিরিজটি শুরু হয় ১৯৬২ সালে ড. নো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যেখানে বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করেন শন কনারি ।এই চলচ্চিত্রে জেমস বন্ড সিরিজের আগের ১৯টি চলচ্চিত্রের উল্লেখ রয়েছে।.
সমালোচকদের থেকে এই চলচ্চিত্রটিকে নিয়ে মিশ্র মতামত পাওয়া যায়।কিছু ক্রিটিক লি তামাহোরির এই চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেছেন। আবার মাত্রাতিরীক্ত কম্পিউটারে তৈরি অ্যানিমেশন ব্যবহার করায় এটি সমালোচিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও সে সময়ের মুদ্রাস্ফীতির কথা বিবেচনা না করলে ডাই এনাদার ডে চলচ্চিত্রটি ছিল সে সময়ে জেমস বন্ড সিরিজের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।
কাহিনী
[সম্পাদনা]ভ্যান বায়ের্ক ছদ্মপরিচয়ে জেমস বন্ড কোরিয়ান সামরিক ঘাটিতে যায় গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্য। সে ঘাটিতে কর্নেল তান-শু মুন অবৈধভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করছিল আফ্রিকান হীরার জন্য। কর্নেল মুনের সহকারী ঝাও বন্ডের আসল পরিচয় জেনে যাওয়াতে কর্নেল বন্ডকে হত্যা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বন্ড হোভারক্রাফটের সাহায্যে পালানোর চেষ্টা করলে কর্নেল মুন তাকে ধাওয়া করে এবং কর্নেলের মৃত্যু ঘটে। বন্ড প্রানে বেচে যায়, কিন্তু কোরিয়ান সৈন্যদের হাতে ধরা পরে এবং কর্নেলের বাবা জেনারেল মুনের দ্বারা বন্দী হয়।
১৪ মাসের বন্দীজীবনের শেষে জেমস বন্ড বন্দী বিনিময় এর মাধ্যমে ঝাও এর পরিবর্তে মুক্তি পায়। বন্ডকে সেখান থেকে অচেতন করে নিয়ে যাওয়া হয় এম এর সাথে দেখা করানোর জন্য। এমের কাছ থেকে বন্ড জানতে পারে যে, মিশন সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনে হত্যা করার যে লাইসেন্স বন্ডের আছে তা স্থগিত করা হয়েছে, কারণ বন্ড নাকি বন্দীদশায় কোরিয়ানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে কেউ একজন ডাবল এজেন্ট এবং তার জন্যই আজ বন্ডের এই অবস্থা, এটি বন্ড সন্দেহ করে এবং তার সাথে করা বিশ্বাসঘাতকতার জন্য প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এমআই৬ এর হেফাজতখানা থেকে পালিয়ে বন্ড হংকং এ যায় এবং একজন চাইনিজ এজেন্টের কাছ থেকে কর্নেল মুনের সহকারী ঝাও এর ঠিকানা কিউবা এটি জানতে পারে।
কিউবার হাভানাতে বন্ড এনএসএ এজেন্ট যাচিন্টা জিংক্স জনসন এর সাথে পরিচিত হয়। তাকে অনুসরণ করে বন্ড একটি ক্লিনিকে পৌছায় যেখানে কারো ডিএনএ পুনর্বিন্যাস করে চেহারা পরিবর্তন করা সম্ভব। বন্ড সেখানে ঝাউ কে খুজে পায় এবং হত্যা করার চেষ্টা করে, কিন্তু ঝাউ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বন্ড ঝাউ এর রেখে যাওয়া লকেট থেকে বিতর্কিত কিছু হীরা পায় যেগুলো থেকে ব্রিটিশ ধনকুবের গুস্তাভ গ্রাভেসের কোম্পানির চিহ্ন পাওয়া যায়।
লন্ডনের ব্লাদেস ক্লাবে জেমস বন্ড গ্রাভেসের সাথে দেখা করে যেখানে গ্রাভেসের সহকারী মিরান্ডা ফ্রস্ট উপস্থিত ছিল। মিরান্ডা ফ্রস্ট এমআই৬ এর একজন আন্ডারকাভার এজেন্ট। বন্ডের কলাকৌশলের কাছে পরাজিত হয়ে গ্রাভেস তাকে আইসল্যান্ডে একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। তার কিছুক্ষন পরেই এম জেমস বন্ডের ডাবল- ও লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয় এবং আইসল্যান্ড অনুসন্ধানে সুবিধার জন্য সহকারী দেয়।
গ্রাভেস তার আইস প্যালেসে 'ইকারাস' নামে একটি উপগ্রহের কথা সবাইকে জানায়। এটি সৌরশক্তিকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফোকাস করতে পারে। এর ফলে ঐ স্থানে সারা বছরই সূর্যের আলো পাওয়া সম্ভব যা শস্য উৎপাদনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন রাতে এনএসএ এজেন্ট জিংক্স গোপনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঝাউ এর কাছে ধরা পরে। জিংক্স কে মুক্ত করে বন্ড জানতে পারে কর্ণেল মুন জীবিত এবং ডিএনএ পুনর্বিন্যাস করে তার চেহারা পরিবর্তন করে গুস্তাফ গ্রাভেসের ছদ্মবেশে রয়েছে।
বন্ড গ্রাভেসের মুখোমুখি হয়। কিন্তু মিরান্ডা তার নিজের ডাবল এজেন্টের পরিচয় ফাস করে দেয়। মিরান্ডার কারণেই যে বন্ড কোরিয়াতে বন্দী ছিল এটাও বন্ড জানতে পারে এবং গ্রাভেসের আইস প্যালেস থেকে পালায়। কিন্তু এদিকে জিংক্স আবারও ধরা পড়ায় বন্ড তার অদৃর্শ্য অ্যাস্টন মার্টিন গাড়ি ব্যবহার করে জিংক্সকে উদ্ধার করে। কিন্তু ঝাও তার নিজের গাড়ির মাধ্যমে বন্ডকে ধাওয়া করলে, দুজনেই আইস প্যালেসের অভ্যন্তরে যায় যেটি ইকারুসের কারণে গলন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বন্ড ডুবন্ত জিংক্সকে উদ্ধার করে এবং ঝাও এর সলিল সমাধি ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ডাই এনাদার ডে (ইংরেজি)
- অলমুভিতে ডাই এনাদার ডে (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে ডাই এনাদার ডে (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে ডাই এনাদার ডে (ইংরেজি)
- ২০০২-এর উপন্যাস
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের চলচ্চিত্র
- ইংল্যান্ডে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- জেমস বন্ডের চলচ্চিত্র
- সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- লন্ডনের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- স্পেনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- কল্পকাহিনীতে পিতৃহত্যা
- আইসল্যান্ডে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ২০০১-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- দক্ষিণ কোরিয়ার পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের কোরীয় ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের গোয়েন্দা চলচ্চিত্র
- ২০০২-এর চলচ্চিত্র
- ব্রিটিশ ধারাবাহিক চলচ্চিত্র
- মার্কিন ধারাবাহিক চলচ্চিত্র
- ২০০২-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- নরওয়েতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের চলচ্চিত্র
- পাইনউড স্টুডিওজে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- লন্ডনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র