ইবনে তাগরিবিরদি
ইবনে তাগরিবিরদি | |
---|---|
জন্ম | জামালুদ্দিন ইউসুফ ২ ফেব্রুয়ারি ১৪১১ কায়রো, মামলুক সালতানাত (বর্তমানে মিসর) |
মৃত্যু | ৫ জুন ১৪৭০ কায়রো, মামলুক সালতানাত | (বয়স ৫৯)
সমাধিস্থল | কায়রো, মিশর |
পেশা | ইতিহাসবেত্তা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | আননুজুমুয যাহিরাহ ফি মুলুকি মিসরি ওয়াল কাহিরাহ النجوم الزاھرۃ فی ملوک مصر والقاھرۃ |
সক্রিয় বছর | আনু. ১৪৩৫–১৪৭০ |
জামালুদ্দিন ইউসুফ বিন আমির সাইফুদ্দিন তাগরিবিরদি (আরবি: جمال الدين يوسف بن الأمير سيف الدين تغري بردي) অথবা আবুল মাহাসিন ইউসুফ ইবনে তাগরিবিরদি বা ইবনে তাগরিবিরদি[১] (২ ফেব্রুয়ারি ১৪১১ — ৫ জুন ১৪৭০; ৮১৩-৮৭৪ হিজরি) ছিলেন একজন ইসলামি ইতিহাসবিদ যিনি ১৫ শতকে মামলুক মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইনী এবং মাকরিজির অধীনে অধ্যয়ন করেছিলেন, যারা তখনকার দুইজন কায়রোর প্রধান ইতিহাসবিদ এবং পণ্ডিত।[২]
ইবনে তাগরিবিরদির সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা হল মিশর এবং মামলুক সালতানাতের একটি বহু-খণ্ডের ইতিহাস; যার নাম নুজুমুজ জাহিরা ফি মুলুক মিসর ওয়াল কাহিরাহ। তার শৈলী বিশ্লেষণমূলক এবং বেশিরভাগ ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্ট তারিখ দেয়; এই বিন্যাসটি স্পষ্ট করে যে ইবনে তাগরিবিরদি সুলতানদের এবং তাদের নথিতে বিশেষ সুবিধা পেয়েছিলেন। "তাগরিবিরদি" নামটি আধুনিক তুর্কি "Tanrıverdi" এর সাথে পরিচিত এবং তুর্কি ভাষায় এর অর্থ ঈশ্বর প্রদত্ত।
কর্মসমূহ
[সম্পাদনা]- নুজুমুজ জাহিরাহ ফি মুলুক মিসর ওয়াল কাহিরাহ (النجوم الزاهرة في ملوك مصر والقاهرة) ৬৪১ খ্রিস্টাব্দের মুসলিমদের মিশর বিজয় থেকে ১৪৬৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালের ঘটনাক্রম[৩][৪]
- মানহালুস সাফি ওয়াল মুস্তাওফা বা'দাল ওয়াফি (المنهل الصافي والمستوفي بعد الوافي); ১৩ খণ্ড। প্রায় ৩০০০ ভুক্তির জীবনী অভিধান। বাহরি রাজবংশের এবং পরবর্তীকালে সুলতান,[৫] আমির, পণ্ডিত এবং বিজ্ঞানী (উলামা), বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিনোদনকারীদের জীবন উদযাপনকারীর ভুক্তি।[৬]
- হাওয়াদিসুয যুহুর ফি মাদায়িল আইয়াম ওয়াশ শুহুর (حوادث الدهور في مدى الأيام والشهور); মিশরের ইতিহাস ১২৫০-১৫১৭ মাকরিজির সুলুক লি মারিফাত দুওয়ালিল মুলুকের যোজিত অংশ।[৭]
- বাহরুয যাখির ফি তারিখুল আলাম ওয়া আখবারুল আওয়াইল ওয়াল আওয়াখির (البحر الزاخر في تاريخ العالم وأخبار الأوائل والأواخر); আদমের সৃষ্টি থেকে সর্বজনীন ইতিহাস (প্যারিসের জাতীয় গ্রন্থাগার, নং ১৫৫১); ইরাক এমএস দারুল কুতুব, মিশর দ্বারা ক্রীত।
- মাওরিদুল লাতাফাহ ফি মান ওয়ালিয়াহুস সালতানাহ ওয়াল খিলাফাহ ( مورد اللطافة في من وليه السلطنة والخلافة); সুলতান ও খলিফাদের জীবনী।[৮]
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- মিশরের ইতিহাস ১৩৮২-১৪৬৯; আবুল মাহাসিন ইবনে তাগরিবিরদির আরবি ইতিহাস থেকে উইলিয়াম পপারের অনুবাদ, বার্কলে ১৯৫৪-৬৩
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইবনে তাগরিবিরদির নুজুমুজ জাহিরা ফি মুলুক মিসর ওয়াল কাহিরার সংক্ষিপ্ত সারাংশ (আরবি)
- নুজুমুজ জাহিরা ফি মুলুক মিসর ওয়াল কাহিরার (আরবি) এর কিছু অংশ পড়ুন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ For a more complete list of variations on the spelling and form of his name, see ISNI's listing for him Ibn Taghribirdi: variations.
- ↑ Massoud, Sami (২০০৭-০৪-২৪)। The Chronicles and Annalistic Sources of the Early Mamluk Circassian Period (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। আইএসবিএন 9789047419792।
- ↑ "Ibn Taghribirdi Abu Al Mahasin Yusuf 1411 1470 Ce - AbeBooks"। www.abebooks.com (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৪।
- ↑ "Al-Nujūm al-Zāhirah fī Mulūk Miṣr wa-al-Qāhirah"। www.archive.org (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৭।
- ↑ Young, M. J. L. (১৯৯০-০৫-১৬)। Religion, Learning and Science in the 'Abbasid Period (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 9780521327633।
- ↑ Ibn Taghrībirdī (১৯৮৪)। al-Manhal al-ṣāfī wa-al-mustawfá baʻda al-wāfī (আরবি ভাষায়)। al-Hayʼah al-Miṣrīyah al-ʻĀmmah lil-Kitāb – www.archive.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ Ibn Taghrībirdī (১৯৯০)। Ḥawādith al-duhūr fī madá al-ayyām wa-al-shuhūr (আরবি ভাষায়)। ʻĀlam al-Kutub। পৃষ্ঠা 613 – www.archive.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ Taghrībirdī (Ibn), Abū al-Maḥāsin, Yūsuf (১৯৯৭)। Mawrid al-laṭāfah fī man waliya al-salṭanah wa-al-khilāfah। Maṭbaʻat Dār al-Kutub al-Miṣrīyah। ওসিএলসি 39498301।