গুজব

বাংলাদেশের মানুষের ভাষা

গুজব হল কোনো ঘটনা সম্পর্কে লোকমুখে প্রচারিত সত্যতা যাচাই বিহীন কিছু কথা বা ব্যাখ্যা। গুজব নানা প্রকারের হতে পারে। অতীত ঘটনা নিয়ে প্রচারিত গুজবকে ভূতাপেক্ষ গুজব বলা হয়। ভবিষ্যৎ ঘটনা নিয়ে প্রচারিত গুজবকে ভবিষ্যাপেক্ষ গুজব বলা হয়। []

১৯৩০ সালে Works Progress Administration প্রকাশিত একটি পোষ্টারে দেখা যায় যে, একজন ব্যক্তি WPA লেখা একটি সাবল দিয়ে গুজব নামের একটি নেকড়েকে আক্রমণ করছে।

সামাজিক বিজ্ঞানের ভাষায়, গুজব হল এমন কোন বিবৃতি যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চত করা সম্ভব হয় না। অনেক পন্ডিতের মতে, গুজব হল প্রচারণার একটি উপসেট মাত্র। সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রে গুজবের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা পাওয়া যায়।[]

গুজব অনেক ক্ষেত্রে "ভুল তথ্য" এবং "অসঙ্গত তথ্য” এই দুই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। "ভুল তথ্য" বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বুঝায় এবং "অসঙ্গতি তথ্য” বলতে বুঝায় ইচছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা।[]

রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে গুজব

সম্পাদনা

রাজনীতিতে গুজব বরাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাচক গুজবের পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব সর্বদা অধিক কার্য়কর হতে দেখা গেছে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Peterson, Warren; Gist, Noel (সেপ্টেম্বর ১৯৫১)। "Rumor and Public Opinion"The American Journal of Sociology57 (2): 159–167। জেস্টোর 2772077ডিওআই:10.1086/220916 
  2. Pendleton, S.c. (1998), 'Rumor research revisited and expanded', Language & Communication, vol. 1. no. 18, pp. 69-86.
  3. from Oxford English Dictionary, 2nd ed., 1989
  4. David Coast and Jo Fox, "Rumour and Politics" History Compass (2015), 13#5 pp 222-234.