বিবর্তনবাদ সমর্থনের ব্যাপ্তি
বিবর্তনবাদ সমর্থনের ব্যাপ্তি বিষয়টি বিজ্ঞানী, সাধারণ জনগণ এবং বিভিন্ন দল ও উপদলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠে; যখন সৃষ্টি বনাম বিবর্তনের বিতর্ক আলোচনার বৈঠকে উঠে। এই আলোচনার উত্তাপ শিক্ষাঙ্গন, ধর্মীয় ক্ষেত্র, রাজনৈতিক ময়দান, দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মহল ছুঁয়ে যায়। এই বিষয়টি সে সব জায়গায় সবচেয়ে বেশি বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়; যেখানে সাধারণ মানুষ বিবর্তন কে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রত্যাখ্যান করে কিন্তু বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো হয়।
জৈব বৈচিত্র্যকে ব্যাখ্যা করতে পারে এরকম বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তত্ত্ব হিসেবে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই (৯৭%) বিবর্তনকে মেনে নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৭ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন বিবর্তনের চলমান ঘটনা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।[১][২] বুদ্ধিদীপ্ত নকশার প্রবক্তারা বিবর্তনবাদের প্রতি আপত্তি জানিয়ে যেসব যুক্তি দিয়েছে তার সবগুলোই বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় দৃঢ় যুক্তির মাধ্যমে প্রত্যাখান করেছে।[৩]
বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় দল এবং সম্প্রদায় গুলো সৃষ্টিবাদের উপর গভীর বিশ্বাস পোষণ করায় বিবর্তনকে তাদের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হিসেবে দেখেন এবং বিবর্তনের বাস্তবতাকে প্রত্যাখান করেন। এরকম কিছু দেশ হল যুক্তরাষ্ট্র,[৪][৫][৬][৭][৮][৯] দক্ষিণ আফ্রিকা,[১০] ভারত, মুসলিম বিশ্ব, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, জাপান, ইতালি, জার্মানি, ইসরায়েল,[১১] অস্ট্রেলিয়া,[১২] নিউজিল্যান্ড,[১৩] কানাডা[১৪]
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স সহ বিভিন্ন প্রকাশনায় এই সমর্থনের মাত্রা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে[১৫][১৬][১৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;pew
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Delgado, Cynthia (২০০৬-০৭-২৮)। "Finding evolution in medicine"। NIH Record। 58 (15)। ২০০৮-১১-২২ তারিখে মূল (hmtl) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২২।
- ↑ Ruling, Kitzmiller v. Dover page 83: "an overwhelming number of scientists, as reflected by every scientific association that has spoken on the matter, have rejected the ID proponents’ challenge to evolution."
- ↑ Noah, Timothy (২০০০-১০-৩১)। "George W. Bush, The Last Relativist"। Slate। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৩।
- ↑ Pyke, Nicholas (২০০৪-০৬-১৩)। "Revealed: Tony Blair's link to schools that take the Creation literally"। The Independent। ২০০৭-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। ; full article at Ohanian, Susan। "Outrages"। ২০০৯-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৩।
- ↑ Meinert, Peer। "Wir drehen die Uhr um 1000 Jahre zurück ("We put the clock back a 1000 years")" (জার্মান ভাষায়)। ২০০৭-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৩।
- ↑ "Serbia reverses Darwin suspension" (stm)। BBC News। ২০০৪-০৯-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৩।
- ↑ "And finally.."। Warsaw Business Journal। ২০০৬-১২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৩।
- ↑ Gunnink, Frans; Bell, Philip (২০০৫-০৬-০৭)। "Creation commotion in Dutch Parliament"। ২০০৭-১০-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৩। ; Enserink, Martin (২০০৫-০৬-০৩)। "Evolution politics: Is Holland becoming the Kansas of Europe?"। Science। 308 (5727): 1394। এসটুসিআইডি 153515231। ডিওআই:10.1126/science.308.5727.1394b। পিএমআইডি 15933170।
- ↑ "Worldwide creationism, Shotgun stunner, and more"। New Scientist। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-২৪।
- ↑ Numbers, Ronald L. (২০০৯)। Galileo goes to jail: and other myths about science and religion। Cambridge: Harvard University Press। পৃষ্ঠা 221–223। আইএসবিএন 978-0-674-03327-6।
- ↑ Numbers, Ronald L. (২০০৯)। "Myth 24: That Creationism is a Uniquely American Phenomenon"। Galileo goes to jail and other myths about science and religion। Cambridge and London: Harward University Press। পৃষ্ঠা 217। আইএসবিএন 978-0-674-03327-6। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-০৩।
Antievolutionists in Australia celebrated in August 2005, when the minister of education, a Christian physician named Brendan Nelson, came out in favor of exposing students both to evollution and ID...
- ↑ Numbers, Ronald L. (২০০৯)। "Myth 24: That Creationism is a Uniquely American Phenomenon"। Galileo goes to jail and other myths about science and religion। Cambridge and London: Harward University Press। পৃষ্ঠা 217, 279। আইএসবিএন 978-0-674-03327-6। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-০৩।
Three years later the New Zealand Listener surprised many of its readers by announcing that "God and Darwin are still battling it out in New Zealand schools."
- ↑ Numbers, Ronald L. (২০০৯)। "Myth 24: That Creationism is a Uniquely American Phenomenon"। Galileo goes to jail and other myths about science and religion। Cambridge and London: Harward University Press। পৃষ্ঠা 217। আইএসবিএন 978-0-674-03327-6। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-০৩।
Writing in 2000, one observer claimed that "there are possibly more creationists per capita in Canada than in any other Western country apart from US."
- ↑ McCollister, Betty (১৯৮৯)। Voices for evolution। Berkeley, CA: National Center for Science Education। আইএসবিএন 978-0-939873-51-7।
- ↑ Matsumura, Molleen (১৯৯৫)। Voices for evolution। Berkeley, CA: National Center for Science Education। আইএসবিএন 978-0-939873-53-1।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Working Group on Teaching Evolution, National Academy of Sciences (১৯৯৮)। Teaching about evolution and the nature of science। Washington, D.C: National Academy Press। আইএসবিএন 978-0-309-06364-7। ; available on-line: United States National Academy of Sciences (১৯৯৮)। Teaching About Evolution and the Nature of Science (ebook)। Washington DC: National Academy Press। আইএসবিএন 978-0-309-06364-7। ডিওআই:10.17226/5787। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৩।