হোসে দে সান মার্তিন
হোসে দে সান মার্তিন | |
---|---|
পেরুর প্রথম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৮শে জুলাই, ১৮২১ – ২০শে সেপ্টেম্বর, ১৮২২ | |
উত্তরসূরী | ফ্রান্সিসকো হাভিয়ের দে লুনা পিসাররো |
পেরু স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠাতা, প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, পেরুর অভিভাবক, ও জেনেরালিস্সিমো দে লাস আর্মাস (ad honorem) | |
কাজের মেয়াদ ২০শে সেপ্টেম্বর, ১৮২২ – ১৭ আগস্ট, ১৮৫০ (মৃত্যু) | |
কুইয়ো প্রদেশের প্রশাসক | |
কাজের মেয়াদ ১০শে আগস্ট ১৮১৪ – ২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৮১৬ | |
পূর্বসূরী | মারকোস গোনসালেস দে বালকার্সে |
উত্তরসূরী | তোরিবিও দে লুসুরিয়াগা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ইয়াপেইউ, কোররিয়েন্তেস, ভাইসরয়ালটি রিও দে লা প্লাতা (বর্তমান আর্জেন্টিনা) | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৭৮
মৃত্যু | ১৭ আগস্ট ১৮৫০ বোলোইন-স্যুর-মের, ফ্রান্স | (বয়স ৭২)
জাতীয়তা | আর্জেন্টিনা |
রাজনৈতিক দল | প্যাট্রিয়ট |
দাম্পত্য সঙ্গী | মারিয়া দে লস রেমেদিওস দে এসকালাদা ই লা কিন্তানা |
সন্তান | মারিয়া দে লাস মের্সেদেস তোমাসা দে সান মার্তিন ই এসাকালাদা |
জীবিকা | সেনাবাহিনী |
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য |
|
কাজের মেয়াদ | ১৭৮৯-১৮২২ |
পদ | আর্জেন্টিনার জেনারেল, চিলি ও পেরুর সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ |
কমান্ড | Regiment of Mounted Grenadiers, Army of the North, Army of the Andes, চিলীয় সেনাবাহিনী |
যুদ্ধ | স্পেনীয় আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধসমূহ |
হোসে ফ্রান্সিসকো দে সান মার্তিন (স্পেনীয়: José de San Martín; ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ১৭৭৮ - ১৭ই আগস্ট, ১৮৫০), যিনি হোসে দে সান মার্তিন (আ-ধ্ব-ব: [xoˈse ðe san marˈtin]; ) নামেই বেশি পরিচিত, একজন আর্জেন্টিনীয় জেনারেল এবং স্পেনীয় সাম্রাজ্য থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশের সফল স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন প্রথম সারির নেতা ছিলেন। তাঁকে এল লিবের্তাদোর দে আর্হেন্তিনা, চিলে ই পেরু (El Libertador de Argentina, Chile y Peru, "আর্জেন্টিনা, চিলি ও পেরুর মুক্তিদাতা") উপাধি দেওয়া হয়েছে।[১]
সান মার্তিন দক্ষিণ আমেরিকার ইয়াপেইউ শহরে (বর্তমান আর্জেন্টিনার কোররিয়েন্তস প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত) জন্মগ্রহণ করেন এবং উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে ৭ বছর বয়সে তিনি স্বদেশ ছেড়ে স্পেনের মালাগাতে চলে যান। ১৮০৮ সালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে উপদ্বীপীয় যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর সান মার্তিন স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ করেন। ১৮১২ সালে তিনি সমুদ্র পথে বুয়েনোস আইরেসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং ইউনাইটেড প্রোভিনেন্স অফ রিও দে লা প্লাতাতে (বর্তমান আর্জেন্টিনা) সেনাবাহিনীতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সান লোরেনসো যুদ্ধের পর ও ১৮১৪ সালে উত্তরের সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার থাকার সময় ইউনাইটেড প্রোভিনেন্সের উত্তর থেকে স্পেনীয়দের পরাস্ত করার জন্য পেরুর ভাইসরয়ালটি দিয়ে একটি বিকল্প পথ ব্যবহারের পরিকল্পনা করেন। এই লক্ষ্যে প্রথম তিনি আন্দেস সেনাবাহিনী নামে আর্জেন্টিনার কাইয়ো প্রোভিনেন্সে নতুন একটি সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। এর সাহায্যে তিনি আন্দেস থেকে চিলি পর্যন্ত নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় চাকাবুকো যুদ্ধ ও মাইপু যুদ্ধে (১৮১৮) জয়লাভ করেন। এর ফলস্বরূপ চিলি স্পেনীয় সাম্রাজ্যের শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে। এরপর তিনি স্পেনীয়দের আরো কঠোরভাবে আক্রমণের উদ্দেশ্যে পেরুর লিমা নগরীর দিকে যাত্রা করেন।
১২ই জুলাই, ১৮২১ সালে লিমার আংশিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সান মার্তিনকে পেরুর নিয়ন্ত্রণকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ২৮ জুলাই সরকারিভাবে পেরুর স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। ২২শে জুলাই ১৮২২ সালে ইকুয়েডরের আরেক বিপ্লবী সিমোন বোলিভারের সাথে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করা হয় এবং বোলিবার স্পেনীয় শ্বাসন থেকে পেরুকে পুরুপুরি মুক্ত করার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। সান মার্তিন অপ্রত্যাশিতভাবে দেশ ত্যাগ করেন ও তার সেনাবাহিনীর কমান্ডার থেকে পদত্যাগ করেন, নিজেকে রাজনীতি ও সেনাবাহিনী থেকে ব্যতীত রেখে তিনি ১৮২৪ সালে ফ্রান্সে স্থানান্তরিত হন। ২২শে জুলাই-এর বৈঠকটির পুরু বিষয়বস্তু নিয়ে পরবর্তী সময়ের ইতিহাসবিদদের মাঝে বিতর্ক রয়েছে।
দক্ষিণ আমেরিকার বিখ্যাত বিপ্লবী সিমোন বোলিভারের সাথে সান মার্তিনকেও আর্জেন্টিনা ও পেরুর জাতীয় বীর হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। দ্য অর্ডার অফ দ্য লিবারেটর জেনারেল সান মার্তিন নামে আর্জেন্টিান সরকারের সব্বোর্চ একটি পদক রয়েছে যা সান মার্তিনকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য তার নামই নামকরণ করা হয়েছে।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Abad de Santillán, Diego (১৯৬৫)। Historia Argentina (Spanish ভাষায়)। Buenos Aires: TEA (Tipográfica Editora Argentina)।
- Camogli, Pablo; de Privitellio, Luciano (২০০৫)। Batallas por la Libertad (Spanish ভাষায়)। Buenos Aires: Aguilar। আইএসবিএন 978-987-04-0105-6।
- Galasso, Norberto (২০০০)। Seamos libres y lo demás no importa nada [Let us be free and nothing else matters] (Spanish ভাষায়)। Buenos Aires: Colihue। আইএসবিএন 978-950-581-779-5।
- Mayochi, Enrique Mario। "San Martín visto por los artistas" [San Martín saw by artists] (Spanish ভাষায়)। San Martín National Institute। ১ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৪, ২০১২।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ John Lynch, San Martin: Argentine Soldier, American Hero (2009)
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Documentos para la historia del Libertador General San Martín [Documents for the history of Liberator General San Martín] (Spanish ভাষায়)। Buenos Aires: Instituto Nacional Sanmartiniano and Museo Histórico Nacional। ১৯৫৩।
- Crow, John (১৭ জানুয়ারি ১৯৯২)। The Epic of Latin America। Berkeley, California: University of California Press। আইএসবিএন 978-0-520-07723-2।
- Dellepiane, Carlos (১৯৬৫)। Historia militar del Perú [Military history of Peru] (Spanish ভাষায়)। Buenos Aires: Círculo Militar।
- Espíndola, Adolfo (১৯৬২)। San Martín en el Ejército Español en la península [San Martín in the Spanish Army in the peninsula] (Spanish ভাষায়)। Buenos Aires: Comisión Nacional Ejecutiva del 150 Aniversario de la Revolución de Mayo।
- Harvey, Robert (২০০০)। Liberators: Latin America's Struggle For Independence। New York: The Overlook Press, Peter Mayer Publishers। আইএসবিএন 978-1-58567-072-7।
- Levene, Ricardo (১৯৩৬)। Historia de la Nación Argentina [History of the Argentine Nation] (Spanish ভাষায়)। Buenos Aires: Editorial El Ateneo।
- Montes i Bradley, Ricardo Ernesto (১৯৫২)। El agricultor José de San Martín [The farmer José de San Martín] (Spanish ভাষায়)। Mexico: Editorial Perspectivas।