ব্রাসেলস স্প্রাউট
শীতপ্রধান অঞ্চলের জনপ্রিয় সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট। ক্রুসেফেরি পরিবারের সবজিগুলোর মধ্যে ব্রাসেলস স্প্রাউটে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান- গস্নুকোসিনোলেটসের পরিমাণ সর্বাধিক। এ ছাড়া অন্যান্য কপিজাতীয় সবজির তুলনায় এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, এ, কে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বিবেচনায় তাই এই সবজিটি উন্নত বিশ্বে সবার পছন্দ। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে এটির চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
ব্যুৎপত্তি
ব্রাসেলস স্প্রাউট কপিজাতীয় সবজি। অনেকটা বাঁধাকপির মতো। প্রতিটি পাতার গোড়ায় বাঁধাকপির মতো একটি করে ছোট কুঁড়ি হয়। এ কুঁড়ি বা বাডটি ব্রাসেলস স্প্রাউট, যা খাওয়া হয়। এমনিতেই কপিজাতীয় সবজিগুলোয় ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান বেশি থাকে। অন্যান্য কপিজাতীয় উদ্ভিদের মতো এটিও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে প্রথম পাওয়া যায়। পঞ্চম দশকে উত্তর ইউরোপে প্রথম এর সন্ধান সম্বন্ধে অবগত হওয়া যায়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এটির চাষ শুরু হয়। এই তথ্যসূত্রের সময়কাল ১৫৮৭ সাল। ষোড়শ শতাব্দীতে এর দক্ষিণ নেদারল্যান্ডে এটি ক্রমশও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।[১]
- ↑ "Brussels sprout"। Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-২৪।