বিষয়বস্তুতে চলুন

পীড়ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Ahmad Kanik (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৮:২৫, ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (45.125.221.180-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 119.30.45.24-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

পীড়ন একটি মান নির্দেশ করে। কোন বস্তুর ওপর বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করা হলে বস্তুর আকার বা আয়তনে পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন কে বাধা দেওয়ার জন্য ঐ বস্তুর ভেতর থেকে এক ধরনের বাধা দানকারী বলের সৃষ্টি হয়। বস্তুর প্রতি একক ক্ষেত্রফল বরাবর লম্বভাবে সৃষ্ট বাধা দানকারী বলের মানকে পীড়ন বলে। বলকে ক্ষেত্রফল দিয়ে ভাগ করা হলে পীড়ন পাওয়া যায়।[] পীড়ন একটি স্কেলার রাশি। এর কোন দিক নেই।কোনো বস্তুর প্রস্থচ্ছেদ বা তলের প্রতি একক ক্ষেত্রফলের ওপর প্রযুক্ত অসহ ভারকে অসহ পীড়ন বলে।

পীড়নের একক

আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে পীড়নের একক প্যাসকেল (pa)

অসহ পীড়ন

বস্তুর ওপর প্রয়োগকৃত বল বেশি হয়ে গেলে বস্তুটি ভেঙে যায় বা ছিঁড়ে যায়। সবচেয়ে কম মানের যে বলের জন্য বস্তুটি ভেঙে যায় বা ছিঁড়ে যায়, তাকে অসহ বল বলে। আর অসহ বলের জন্য যে পীড়ন হয় তাকে অসহ পীড়ন বলে।

পীড়নের প্রকারভেদ

বস্তুর প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে তিন ধরনের পীড়ন দেখা যায়। যথা : ১) দৈর্ঘ্য বা টান পীড়ন ২) আয়তন পীড়ন এবং ৩) ব্যাবর্তন পীড়ন

দৈর্ঘ্য বা টান পীড়ন

দৈর্ঘ্য বিকৃতি প্রতিরোধ করার জন্য বস্তুর একক ক্ষেত্রফল বরাবর বাধাদানকারী যে বলের সৃষ্টি হয়,তাকে দৈর্ঘ্য বা টান পীড়ন বলা হয়।

আয়তন পীড়ন

আয়তন বিকৃতি প্রতিরোধ করার জন্য বস্তুর একক ক্ষেত্রফল বরাবর লম্ব ভাবে বাধাদানকারী যে বলের সৃষ্টি হয়,তাকে আয়তন পীড়ন বলা হয়।

ব্যাবর্তন পীড়ন

ব্যাবর্তন বিকৃতি প্রতিরোধ করার জন্য বস্তুর একক ক্ষেত্রফল বরাবর বাধাদানকারী যে বলের সৃষ্টি হয়,তাকে ব্যাবর্তন পীড়ন বলা হয়।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "গল্প-কথায় পদার্থবিজ্ঞান :পীড়ন-বিকৃতি"দৈনিক ইত্তেফাক। ঢাকা বাংলাদেশ: তাসমিমা হোসেন। ০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |year= / |date= mismatch (সাহায্য)